ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনার পুরোটা জুড়েই ছিলো সাধারণ মানুষের মুক্তি

প্রকাশনার সময়: ১৮ আগস্ট ২০২১, ০৭:০২ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২১, ০৭:০৫

বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনার পুরোটা জুড়েই ছিলো সাধারণ মানুষের মুক্তি। দেশ গড়ার জন্য মাত্র তিন বছর সময় পেলেও তা কাজে লাগিয়েছেন বহুমাত্রিক পরিকল্পনা আর উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সময়ের চেয়েও যোজন যোজন এগিয়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উপযুক্ত সহযোদ্ধা পেলে দেশকে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতেন বঙ্গবন্ধু।

জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল যার গরিব, খেটে মানুষের জন্য, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ স্বাধীন করবার পর, পরিচালনার জন্য সময় পেয়েছিলেন একেবারেই অল্প। অথচ, সেই সময়ের মধ্যে দেশকে সচ্ছল করতে যা করেছেন, তা সত্যিই অকল্পনীয়।

বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব নিয়েই ঝাঁপিয় পড়েন অবকাঠামো বিনির্মাণে। সেই সাথে, বাণিজ্য, শিল্প ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে নিতে থাকেন একের পর এক উদ্যোগ। পরিস্থিতির কারণে বহু উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিলেও, তাতে নিশ্চিত করেন শ্রমিকদের মালিকানা।

সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অসংখ্য সঙ্কট, অভাব অনটন আর মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগে যান বঙ্গবন্ধু। ধনী গরিবের বৈষম্য কমাতে, সীমা বেঁধে দেন জমির মালিকানার। দেশ সেরা অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গঠন করেন পরিকল্পনা কমিশন। সেখানেও, পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য গুরুত্ব পায় শিল্পায়ন, স্বাস্থ্য-শিক্ষার মতো খাত। সমানতালে, শক্তিধর অর্থনীতিগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেন বহির্বাণিজ্য বাড়াতে। সার্বির ফলাফল, মাত্র তিন বছর দায়িত্বে থেকে ৯৫ ডলারের মাথাপিছু আয় নিয়ে যান ২৯১ ডলারে।

অর্থনৈতিক মুক্তি অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে সবসময় বঙ্গবন্ধু গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষির ওপর। তাইতো, খাদ্যশস্যসহ সার্বিক উৎপাদন বাড়াতে, বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নেন যন্ত্রপাতি, সার, বীজ, সেচসহ প্রায় সব ধরনের উপকরণ।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ