ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত ছাত্রলীগ’

প্রকাশনার সময়: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:২৭ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:২৯

নতুন নেতৃত্ব পেয়ে আশারবাণী শুনিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন দুই কাণ্ডারী সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ছাত্রলীগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

তিনি নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে স্মার্ট ক্যাম্পাস তৈরি করা সেটি আমাদের লক্ষ্য থাকবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অর্থনৈতিক রূপান্তরের ঘটনা ঘটেছে। সম্ভাবনাময় শিল্প থেকে এখন আমরা মেশিন লার্নিং বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির দিকে যাচ্ছি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়ও যেন সেই রূপান্তরটি ঘটে- সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করতে চাই।’

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এ মুহূর্তে ছাত্রসমাজের প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে যারা খুনিদের পুনর্বাসন করতে চায়, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদের যারা দোসর, যারা গণতন্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা একটা লড়াই করছি, এ লড়াইয়ের শেষ দেখতে চাই এবং এদের বিনাশ না করা পর্যন্ত ছাত্রসমাজের লড়াই চলবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী, আমাদের সাংগঠনিক গতিময়তা রয়েছে। যে কারণে ব্যক্তির নেতৃত্বের বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সংগঠনের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সাংগঠনিক গতিময়তা রয়েছে, সৃজনশীলতা রয়েছে সেটিই আমাদের পথচলাকে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াকু করে তুলবে।’

ছাত্রলীগের নতুন এ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তবে আমরা দায়সারাভাবে এগুলোকে এড়িয়ে উটের মতো বালুুর মধ্যে মুখ গুজে থাকব- সেটি হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন। সে রকম একটি স্মার্ট সম্পর্ক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’

কমিটি দেয়ার কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হবে এমন প্রশ্নে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা কিছু সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছি, বর্ধিত সভা ডেকেছি। সেখানে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে ওয়ার্ক প্ল্যান তৈরি করব। এবং সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রত্যেকটি কমিটি আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে বিভিন্ন অভিযোগ না ওঠার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সম্মেলন। একটা সাংগঠনিক ইউনিটে সম্মেলন হলে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বুঝতে পারি। কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কেমন, কার সাংগঠনিক দক্ষতা কেমন, স্থানীয় নেতাদের মতামত, কারও কোনো অভিযোগ আছে কি না- তা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে।

জয়-লেখকের শেষ সময়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। তিনি নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা আরও বেশি সতর্ক থাকব যাতে সংগঠনকে কেউ বিতর্কিত করতে না পারে। তারপরও কেউ কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গসহ সব ধরনের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে যা কিছু করা দরকার খুব দ্রুতই তার সব কিছু করা হবে।’

ঢাকা কলেজ ও বাঙলা কলেজের কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও বাঙলা কলেজ ঢাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। আমরা শিগগিরই এই কমিটিগুলো নিয়ে কাজ করব। এই ইউনিটগুলোর সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে যা কিছু করা দরকার খুব স্বল্প সময়ে তা করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর ৩০তম সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়েছে সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনা নতুন করে সংগঠনটির দায়িত্ব দিয়েছেন সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের কাঁধে। দুজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ