ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
গবেষণা প্রবন্ধের তথ্য

শহরে বর্জ্য সংগ্রহের দক্ষতা ৫০ শতাংশেরও কম

প্রকাশনার সময়: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:৫৯

২০১৪ সালের বর্জ্য ডাটাবেস অনুসারে, ২০২৫ সালে মোট ৪৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে কঠিন বর্জ্য উৎপাদন ৫৭ হাজার টন এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তা ৭৭ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে। অথচ দেশের বেশিরভাগ শহরে বর্জ্য সংগ্রহের দক্ষতা ৫০ শতাংশেরও কম।বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন এক গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ফোর আর রোডম্যাপ উপস্থাপন শীর্ষক সভায় তিনি আরো জানান, পচনশীল বর্জ্য শহুরে জীবনযাত্রাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে। কঠিন বর্জ্যের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় পড়ে থাকা বর্জ্যের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা দুর্বিষহ ভোগান্তির সম্মুখীন হয়।

দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কনর্সোটিয়াম আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

ডিএসকে’র নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম, ইউএসএআইডি প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট স্পেশালিস্ট সুমনা বিনতে মাসুদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওরের (কাপ) নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, গবেষক আমিনুর রসুল, ঢাকা কলিং প্রকল্পের পরিচালক মাহবুল হক, বস্তিবাসীর অধিকার সুরক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা প্রমুখ।

সভায় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ শহরের ৫০ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহ হচ্ছে না। ফলে এসব বর্জ্য শহরে দূষণ ঘটাচ্ছে। এছাড়া ঢাকার আশপাশের ল্যান্ডফিলগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণ মিথেন নিঃসরণ হয়। যে গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের থেকে ১০০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের ল্যান্ডফিল ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে। ক্লাইমেট জাস্টিসের কথা বলি, এখানে তো আমরা নিজেরাই দূষণ করছি।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জনে সম্প্রতি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ পাশ হয়েছে। বিধিমালায় যুগান্তকারী বেশ কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হলেও সামগ্রিকভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার কী কর্মকৌশল বা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে, তার কোন সুস্পষ্ট পথরেখার ধারণা পাওয়া যায় না। তারা আরো বলেন, যদি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা টেকসইভাবে পরিচালিত না হয়, তবে বেশিরভাগ শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ