ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘গাছ কাটার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে’

প্রকাশনার সময়: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:১৮

পরিবেশ বিভাগের পরিচালক এবং এনটিআরসিএ সচিব এটিএম মাহবুব উল করিম বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে মানুষের কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভাবে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতির মুখে পড়ছে। ইতোমধ্যে গাছ কাঁটার ফলে বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ুর পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে।’

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ইয়্যুথ এম্পাওয়ার স্কুল (ইয়েস)’র জিএলটিএস ইংলিশ ক্লাবের আয়োজনে ‘প্রকৃতির স্থানচ্যুত ল্যান্ডস্কেপ পুনর্গঠনঃ সবুজ পৃথিবী, সুস্থ্য জীবন’ স্লোগান নিয়ে ইংলিশ ফর এনভাইরনমেন্ট কনফারেন্স-২০২১ এ তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল দূষণের কারণে জলাভূমি এবং নদী দূষণ অতিমাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে, যা বয়ে আনতে পারে মহাবিপদ। এই মুহুর্তে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে পৃথিবী রক্ষায়। বৈশ্বিক উষ্ণতার এমন সময় ইয়্যুথ এম্পায়ার স্কুল(ইয়েস)’র এমন একটি মহতী উদ্যেগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন যুক্ত ছিলেন দেওয়ান নূরতাজ আলম, যুব বাপা নেতা এবং ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের কম্যুনিকেশন্স অফিসার, এবং পানামা থেকে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউলিয়ানা ভাস্কেজ, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং শক্তি সংরক্ষণ এবং নির্গমন হ্রাস সারটিফাইড ট্রেইনার।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, গ্লোবাল ল থিঙ্কারস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাওমান স্মিতা।

এছাড়াও স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ড: প্যাট্রিকজা অস্টিন-পোল্যান্ড, ডা. এস সোবানা এবং ড: এস ভিরামনি-ভারত, ডেসমন্ড অ্যালুগনোয়া -ঘানা, আনিসা এরউ- ইন্দোনেশিয়া, ওয়ান আফ্রোনেলি, কমরেড নেলসন নান্না নওয়াফোর ও আবিম্বোলা আবিকোয়ে -নাইজেরিয়া এবং তৌহিদা সুলতানা বাংলাদেশ থেকে।

এসময়ে উপস্থিত বক্তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ দেশের অবস্থান ও পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের করণীয় কার্যক্রম তুলে ধরেন। পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইংলিশ ক্লাবের প্রধান জনাব সান্তোস কুমার।

গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি(জিএটিএস)’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাওমান স্মিতা বলেন, ‘প্রত্যেক দেশের প্রকৃতির নিজস্ব সৌন্দর্য ও সৃষ্টির উদ্দেশ্য আছে। সেই দেশের প্রাণীকুলের জীবনের সাথে মিলেই ল্যান্ডস্কেপ তৈরি হয়। তাই উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশ ও প্রাণীকুলের ভারসাম্য বজায় রেখে, নতুবা, অনেক প্রাণীকুল যেমন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং এতে অসুস্থ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। ফলে মানুষের সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার হার হ্রাস পাচ্ছে। করোনা মহামারীর ভয়াবহতা দেখার পর অন্তত সরকারের সচেতনতা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পরিবেশ বিষয়ক এ কনফারেন্সে যুক্ত ইয়্যুথ এম্পায়ার স্কুল(ইয়েস) স্কুলের প্রধান মাহির দাইয়ান বলেন, ‘শিক্ষা হবে টেকসই উন্নয়নকে মাথায় রেখে এবং এই সচেতনতা শিশুকাল থেকেই শুরু হতে হবে। তরুণদেরকে শক্তিশালী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতেই ইয়েস স্কুলের হাইব্রিড যাত্রা শুরু হয়েছে নানাবিধ পরিবেশ ও শিক্ষার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করণের মধ্য দিয়ে।’

পরিশেষে প্রকৃতির বাস্তুচ্যুত অবস্থাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়ে শেষ হয় এ ভার্চুয়াল কনফারেন্স। এরই ধারাবাহিকতায় চলবে বিশ্বের নানা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ