উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ইনস্টিটিউট ফর অ্যানভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইইডি পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সমাজ-উন্নয়নকর্মী; বিশেষত সমাজের সক্রিয়জনদের মাধ্যমে গণতন্ত্রায়ন ও জনপরিবেশ সহায়ক সমাজ রূপান্তরের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া, নারীর ক্ষমতায়ন, জাতিগত-ধর্মীয় সংখ্যালঘু, পরিবেশ-প্রতিবেশের উন্নয়ন এবং সমাজে বৈষম্যহীনতা ও শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় অনলাইনে ‘কুতথ্য’ প্রতিরোধেও প্রতিষ্ঠানটি কর্মএলাকায় সফল দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট ফর অ্যানভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আইইডি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব তথ্য জানান।
আইইডির সিনিয়র সমন্বয়কারী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে সংস্থার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সিনিয়র সমন্বয়কারী মো. হামিদুজ্জামান।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘‘ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোগঠন পরিবর্তন, সৃজনশীল চিন্তা ও উন্নয়ন উদ্যোগসমূহকে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহায়তায় আইইডি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সামাজিক জাগরণ সৃষ্টিসহ নারী, পিছিয়েপড়া ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, সক্ষমতা বৃদ্ধি; দক্ষতা উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব তৈরি, দ্বন্দ্ব নিরসন ও রূপান্তর, সংবেদনশীলতা-সহনশীলতা-শান্তি-সম্প্রীতির সমাজ নির্মাণ এবং সমাজে জনউদ্যোগ সৃষ্টিতেও কাজ করছে।’’
বক্তব্য শুরুর আগে প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কার্যক্রমের বিষয়ে তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে— নারী, দরিদ্র ও সমাজের পিছিয়েপড়া নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিশ্চিতকরণ; সমাজের নারী ও শিক্ষা থেকে ঝরেপড়া আদিবাসী যুবদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ; দোকানে রেখে সরাসরি হাতে-কলমে কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা; পারিবারিক আইন, ব্যক্তি ও পরিবারে আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা ও সঞ্চয় করা; সময় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির চর্চা; জলা-জঙ্গল-প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা ইত্যাদি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঢাকাসহ দেশের ৯টি জেলায় প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, বৈঠক, পথসভা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন, বিতর্ক, কিশোরীদের আত্মরক্ষামূলক দক্ষতা উন্নয়ন, নৌ-র্যালি, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, হাইকিং ক্যাম্পেইন, উন্মুক্ত সংবাদ সম্মেলনসহ ব্যতিক্রমী কর্মসূচির মাধ্যমে সংস্থার নানামুখী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়।
‘জনউদ্যোগ’-এর মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নানা ইস্যুতে নাগরিক সক্রিয়তা তৈরিতে আইইডি ভূমিকা রাখছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রবীণের অভিজ্ঞতা ও নবীনের শক্তি এই ধারণা নিয়ে যুবদের মেধার বিকাশে তথ্যবিনিময়, তথ্যভাণ্ডার তৈরি, পাঠাভ্যাস, সাংস্কৃতিক বিনিময়, গল্প-কবিতা-গান-আড্ডা, সামাজিক সক্রিয়জন হিসেবে তৈরিতে ঢাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ফোক সেন্টার। সংস্থার বর্তমান সরাসরি উপকারভোগী ৪৭ হাজার ১৫ ও পরোক্ষ উপকারভোগী ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৫ জন।
জনউদ্যোগের সদস্যসচিব তারিক হোসেন মিঠুলের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কবি সোহরাব হাসান, শাকিলা পারভীন, সুবোধ এম বাস্কে, হরেন্দ্রনাথ সিং, আইপি ফেলো সুমন্ত্র বর্মণ, আহমেদ শারজিন শরীফসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ