ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড়ের সাথে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
রোববার (১৪ মে) দুপুরে ২টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব চলছে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকেও প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়ার অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। কয়েক শতাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। জলোচ্ছ্বাসে উত্তরপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও পূর্ব দিকের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুপুর ২টার পর প্রবল গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। এতে লোকজনের ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে পড়ছে। গাছ পড়ে আহত হয়েছেন ১০-১৫ জন। এর মধ্যে একজন নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে আঘাত করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। রোববার বিকেলে মিয়ানমারের আবহাওয়া দফতর এই তথ্য জানিয়েছে।
তারা জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি বিকেলে মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করা শুরু করে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার। রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অতিক্রম করবে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের উদ্ধারকারী দল তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, তারা তাচিলেক শহরে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে চাপা পড়া এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের পাইন ও লুইন শহরে গাছের নিচে চাপা পড়ে একজন মারা গেছেন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ