আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারিতে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরমধ্যে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রূপ নিতে পারে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আমরা এর আগেই জানিয়েছিলাম যে মাসের শেষে একটা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এই ধারা আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে। তবে তাপমাত্রা এখন যেমন আছে তেমনই থাকবে।
তিনি বলেন, জানুয়ারির ৩ থেকে ৪ তারিখের পরে গিয়ে তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে আবার সেটি কমে যাবে। জানুয়ারি শীতলতম মাস। এই মাসে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এই মাসেও মৃদু থেকে মাঝারি মানের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে সারাদেশে। কোথাও কোথাও তীব্র হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা বেশি কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে। নওগাঁ, পঞ্চগড়, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এই সময়ে সাগরে যে লঘুচাপ থাকে সেটির প্রভাব স্থলভাগে থাকবে না। এখন বায়ুমণ্ডলীয় কারণে তাপমাত্রা কমে এসেছে। উপরের স্টিম উইন্ড (জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস) নিচের দিকে নেমে আসে। এ সময় এই ঠাণ্ডা বেশি পড়ে।
জানুয়ারির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদীর অববাহিকায় মাঝারি/ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা/মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ মাসে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে দুই থেকে তিনটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রূপ নিতে পারে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ