আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাসের শেষে দেশের উত্তরভাগ ও পশ্চিমভাগে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের ২৯ ও ৩০ তারিখে দেশের উত্তরাঞ্চলে ও পশ্চিমভাগে তাপমাত্রা ১০ এর কাছাকাছি থাকবে।
যদিও এই মাসে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। রাজশাহীর বদলগাছী উপজেলায় তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মাস মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্য ডিসেম্বরের পরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে।
শাহীনুল ইসলাম বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে দেশের অনেক অঞ্চলেই তাপমাত্রা নিচে নেমে এসেছে। কাল তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। তবে সেটা বদলগাছীতে নয়। এর এক থেকে দুই দিন পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। ২৮ তারিখের পরে গিয়ে আবার একটু কমতে পারে। যার ফলে ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর একটা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেবে।
পৌষের শীত শুরু হলেও দেশের অনেক অঞ্চলেই তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যেই ওঠানামা করছে। শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মধ্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। শীতের অনুভূতি শুরু হয়। সেই সঙ্গে থাকে হালকা কুয়াশা। শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী বিভাগের বদলগাছী ছাড়াও রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি এর ঘরে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গাতেও তাপমাত্রা চিল ১০ এর ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং এটি শুক্রবার সকাল ৬টায় একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ