সম্প্রতি আলোচনায় ঢাকাই সিনেমার উঠতি অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তিনি ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
গত সোমবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে দীঘি জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রির সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে নানা সময়ে রাজনীতির শিকার হয়েছেন। এছাড়া কিছু কাজে তার সাথে কথা হওয়ার পরে অন্যদের কাস্ট করা হয়েছে।
দীঘির ওই স্ট্যাটাস ঘিরে নানা গুঞ্জন চলছে। কেউ বলছেন পরিচালক রায়হান রাফির ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন দীঘি। তবে দীঘির এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেছেন রাফি। তিনি বলেন, দীঘি নিজেই আমার সাথে কথা বলে অভিনয় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছে, আমার অফিসে এসেছে। এর মানে এই নয় যে তাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
দীঘিকে পরামর্শ দিয়ে রাফি আরো বলেন, তার উচিত টিকটক বাদ দিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হওয়া। ফিটনেসের দিকে মনোযোগী হওয়া। সে শুধু আমার সিনেমা থেকে বাদ পড়েছে এমন না, অন্যরা কেন তাকে সিনেমা থেকে বাদ দিল? নিশ্চয়ই তার ঘাটতি আছে।
এবার দীঘি ইস্যুতে ফেসবুকে রাফিকে খোঁচা দিলেন আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবহা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ফেসবুক পোস্টে সুবহা লিখেন, বাংলাদেশের রেকর্ড হয়ে থাকল। এইভাবে কোনোদিন কোনো বড় ডিরেক্টরকে কোনো নায়িকাকে প্রকাশ্যে তার ফিগার-বডি নিয়ে অপমান করতে দেখিনি। নিজে একটা পোড়া বেগুন, কিসের এত অহংকাররে ভাই? উনি এমনভাবে কথা বলেছে মনে হচ্ছে সে ইন্ডিয়ান ডিরেক্টর, করণ জহর বা সঞ্জয় লীলা বনশালি হয়ে গেছে।
সুবহা লিখেছেন, যে প্রেম করতে পারবে সেই ভালো নায়িকা, ভালো ফিগারের সুন্দরী নায়িকা। আর যে প্রেম করতে পারবে না, খাট কাঁপাতে পারবে না সে ভালো নায়িকা না, এটা কি ধরনের মিনিং? বর্তমান যুগে অনেক বড় বড় বলিউড এবং বাংলাদেশের নায়ক-নায়িকারা অনেকেই টিকটক করেন। তার মানে এই না যে সে পচে গেছে বা একদম খারাপ হয়ে গেছে, পর্নস্টার হয়ে গেছে, সরি টু সে।
তিনি লেখেন, এভাবে একটা নায়িকাকে অপমান করা হলো বিষয়টা খুব কষ্টের। তারপরেও সে ছোট থেকেই অভিনেত্রী, আবার স্টারকিড। তিনটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তার ঝুলিতে আছে। সে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। তাকে অবশ্যই সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত ছিল তার। চলচ্চিত্রের প্রযোজক-পরিচালক মানে সিনেমার বাবা-মা। ওনারা যদি এভাবে এই ভাষায় অভিনেত্রীদের নিয়ে কথা বলে, তাহলে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার। এইভাবে বডি শেমিং করা ঠিক হয়নি। আপনাদের সবার উচিত এইসব ফালতু মন-মানসিকতার মানুষদেরকে শিক্ষা দেয়া।
তিনি আরো লেখেন, আমিও চলচ্চিত্রের একজন অংশ এবং আমিও একটা মেয়ে। তাই বিষয়টি আমার খারাপ লেগেছে। আর আমি পার্সোনালি দীঘিকে অনেক পছন্দ করি। আমি কখনো কাউকে ছেড়ে কথা বলিনি এবং বলবোও। না আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে ওই ডিরেক্টরের কথা-বার্তাগুলো। দীঘির জায়গায় হয়তো আমিও এরকম বাজেভাবে বডি শেমিংয়ের শিকার হতে পারি দুদিন পর, উনার মতো ডিরেক্টরের কাছে। দীঘির বাবা আমার সিনেমায় আমার বাবা হয়েছিলেন। অনেক ভালো মানুষ। আর দীঘির মা অনেক নামকরা নায়িকা ছিলেন। দীঘি একটা অল্প বয়সের মা হারা মেয়ে। চলচ্চিত্রের মানুষদের অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত এভাবে চুপ না থেকে। কাল হয়তো আপনাদেরকে নিয়েও এভাবে অপমান করে কথা বলতে কেউ পিছপা হবে না। সবশেষ সুবহা লেখেন, আমি বরাবরই প্রতিবাদী। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবোই। যদি কিছু করার থাকে কইরেন, ইনশাল্লাহ দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ