এর আগে অসংখ্য নাটক, টেলিফিল্ম, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে কাজ করলেও মেধা অনুযায়ী ঠিক ওভাবে স্বীকৃতি পাননি তিনি। তবে ‘রেহানা মরিয়ম নুর’ চলচ্চিত্রের জন্য অভিনেত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন।
এই চলচ্চিত্রে তার প্রাণবন্ত অভিনয় দেশে বিদেশে তারকাখ্যাতি এনে দেয়। সেই থেকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন বাঁধন। এই চলচ্চিত্রের সুবাধে পেয়েছেন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বলা যায় খ্যাতির পারদের চূড়ায় অবস্থান করছেন বাঁধন।
তারই ধারাবাহিকতায় নতুন একটি ওয়েব সিরিজে বাঁধনের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন বলিউড নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ। জানা যায়, কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে পরিচয় বাঁধনের। সেখান থেকে একটু-আধটু জানাশোনা এবং খোঁজ-খবর রাখা। নজর এড়ায়নি অভিনেত্রীর আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’র ঝলকও। বাঁধনের কাজ দেখে ‘সন্তুষ্ট’ প্রখ্যাত বলিউড নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ।
চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘গুটি’ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি রিল পোস্ট করেছেন ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ নির্মাতা। গত বুধবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ইনস্টাগ্রামের রিলে ‘গুটি’র ছোট্ট একটি ভিডিও শেয়ার করেন অনুরাগ।
বাঁধনকে উদ্দেশ করে রিলে শেয়ার করা ভিডিওতে তিনি লিখেছেন, ‘অল দ্য বেস্ট বাঁধন। আফটার রেহেনা মরিয়ম নূর ও বিফোর খুফিয়া।’ আর এই লেখার নিচের দিকে আগুনের স্টিকার ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ চলচ্চিত্রে টিজারে বাঁধনের কাজ দেখে যে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
অনুরাগের এমন অন্তর্জাল আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাঁধন বলেন, ‘অনুরাগ অসাধারণ একজন মানুষ। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে তার সঙ্গে আমার আলাপ ও আড্ডা। এই ছোট্ট জীবনে এমন সিনেমাপ্রাণ মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। সেই মানুষটি যখন আমার ছোট্ট একটা টিজার দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন, তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। মনে হয়, আমি এতটা প্রাপ্তির যোগ্য নই। থ্যাংকস অনুরাগ, এভাবেও হূদয়ে রাখার জন্য।’
এদিকে ‘রেহানা মরিয়ম নুর’ এর সুবাদে টানা এক বছর ধরেই উড়ছেন আজমেরী হক বাঁধন। ফ্রান্স হয়ে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ভারতসহ বিশ্বের নামকরা বেশিরভাগ উৎসবই ঘুরে এসেছেন এরমধ্যে। পেয়েছেন স্বীকৃতি আর মুহুর্মুহু করতালি। সেসব আজলা ভরে বারবার ফিরে এসেছেন দেশে। বসে থাকেননি, কাজ করেছেন বলিউড হয়ে টলিউডেও; নামকরা নির্মাতাদের ডাকে।
এসব বিষয়ে গণমাধ্যমকে বাঁধন বলেন, প্রচুর ফেস্টিভালে গেলাম গত এক বছরে। জীবনের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বছর যাচ্ছে আমার। কান তো অবশ্যই। সেখান থেকে ফিরে এত ফেস্টিভালে গেলাম। ভাবলেও অবাক লাগে। এবং বেশিরভাগই নিজের আগ্রহ থেকেই যাওয়া। এটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এই জার্নিটা আমার জন্য খুবই দরকার ছিল। জীবনটাকে একেবারে উল্টে-পাল্টে দেখলাম।
তিনি আরো বলেন, আমি জানি না, এটা ভাগ্য নাকি অর্জন। কারণ, সাধারণত উৎসবগুলোতে নির্মাতা-প্রযোজকরা যান। মাঝে মাঝে শিল্পীরা। তো আমার নির্মাতা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ যেহেতু কোথাও যায় না, সেহেতু আমিই গেলাম সবখানে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ