দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। ওপার বাংলার একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করার পাশাপাশি এপার বাংলায় অঙ্কুশ, যশের সঙ্গেও স্ক্রিন শেয়ার করেছেন এই বাংলাদেশি অভিনেত্রী। সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চায় তিনি। বিয়ে হওয়ার কথা ছিল খুব শিগগিরিই। কিন্তু আচমকা বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত।

দীর্ঘ সাত বছর প্রেম করার পর ২০২০ সালের ২১ মার্চ পারিবারিক আয়োজনে বাগদান সারেন ফারিয়া-রনি। কথা ছিল, ওই বছরের নভেম্বরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলবেন তারা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা হয়নি। তবে মাঝে মধ্যে অবসর যাপনের জন্য এ জুটিকে বিদেশে পাড়ি জমাতে দেখা গেছে। তারপর অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও বাগদান আর বিয়েতে রূপ নেয়নি। এবার ফারিয়া জানালেন— তিনি আর এই বিয়ে করবেন না।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিয়ের বিষয়ে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ফারিয়া। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফারিয়া? এ প্রশ্নের উত্তর দিতেও সম্মত নন। তার ভাষায়—‘এত জানার দরকার কী? ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তত একজন নায়িকা সিঙ্গেল থাক না! জোর করে বিয়ে, বাচ্চা— এসবের দরকার নাই তো, একটু রিলাক্সে শান্তিতে থাকি না।’

ঘটা করে বাগদান সম্পন্ন করেন ফারিয়া। তারপর বিদেশে অবসর যাপনের জন্যও গিয়েছিলেন। তারপরও এই সিদ্ধান্ত কেন? নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘জীবনে ওঠা-নামা থাকবেই। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই, কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই, কখনো হয়নি। তারপরও বিয়েটা হচ্ছে না।’

ফারিয়া মনে করেন তিনি যেসব সিদ্ধান্ত নেন তা ভেবে চিন্তেই নিয়ে থাকেন। তা উল্লেখ করে ফারিয়া বলেন, ‘আমি যা করি, বুঝেশুনেই করি। এ কারণে আমার কোনো বিতর্ক নেই। রনির সঙ্গে আমার সব সময়ই যোগাযোগ আছে; সারা জীবনই বন্ধুর মতো সম্পর্ক থাকবে। এখন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটি দুজনের বোঝাপড়ার পরই নিয়েছি।’

বিয়ের পর বিচ্ছেদ নিয়ে ভয় ফারিয়ার। তিনি বলেন, ‘আশপাশে অনেক বিচ্ছেদের খবরে আমার ভয় লাগে। কারণ, আমাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজনের মধ্যে এই বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি নেই। এটি আমার জন্য একটা মানসিক ট্রমা।’

অন্য কোথাও হলেও বিয়ে করতে বলছে নুসরাত ফারিয়ার পরিবার। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘পরিবার থেকে বিয়ে করতে বলছে। এ নিয়ে চাপ আছে। কিন্তু আমি এখন যেভাবে, যে পরিমাণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত, এ পরিস্থিতিতে বিয়ের বিষয় আসলে কাজে সময় দিতে পারব না।’

নয়া শতাব্দী/জেআই