ব্যক্তিগত নানা গুঞ্জনের পর কাজে ফিরছেন চার তারকা শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, শবনম বুবলি এবং পূজা চেরি রায়। ব্যক্তিগত গুঞ্জনকে মাড়িয়ে নতুন নতুন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই চার তারকা।

এর মধ্যে শাকিব খান ‘শেরখান’ নামের একটি চলচ্চিত্র শুরু করতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে অপুবিশ্বাস এবং শবনম বুবলি তাদের নিজ নিজ নতুন চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করেছেন গতকাল। তবে পূজা চেরি রায় নতুন কাজ শুরু না করলেও তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফটোশুটের সময় করা নতুন একটি ভিডিও আপলোড করে ফের আলোচনায় এসেছেন।

শাকিব খানের ‘শের খান’: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন শাকিব খান। রায়হান রাফির ‘প্রেমিক’, সানি সানোয়ারের ‘শের খান’সহ মোট সাতটি চলচ্চিত্র নির্মাণে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তার প্রযোজনা সংস্থা এসকে ফিল্মস থেকে।

এগুলোর অনেকগুলোই এ মাসে শুটিংয়ের কথা বলেছিলেন পরিচালকরা। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আপডেট পাওয়া না গেলেও ‘শের খান’ নিয়ে কথা বলেছেন শাকিব। এসকে ফিল্মস ও এর সহ-প্রযোজক কপ ক্রিয়েশনের ফেসবুক পেইজ থেকে চলচ্চিত্রটি বিষয়ে জানানো হয়েছে।

সেখানে তারা লিখেন, ‘শের খান’ চলচ্চিত্র এসকে ফিল্মস ও কপ ক্রিয়েশনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হবে এবং চলচ্চিত্রের প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে পুরোদমে। চলচ্চিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে এ সপ্তাহেই।

বুবলির ‘প্রহেলিকা’: চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘প্রহেলিকা’ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছেন বুবলি। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় সংলাপের দৃশ্যধারণ দিয়ে ‘প্রহেলিকা’ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয়েছে। এদিন প্রথম দৃশ্যের শুটিংয়ে বুবলির সঙ্গে অংশ নেন মাহফুজ আহমেদ এবং এ কে আজাদ সেতু। নির্মাতা চয়নিকা জানান একটানা শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করতে চান।

আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ‘প্রহেলিকা’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলবে। এরপর ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দর থেকেই তারা ছুটবেন আরেকটি শুটিং স্পটে। চলচ্চিত্রে চারটি গান থাকবে। একটি গানের শুটিং হবে বান্দরবানের থানচিতে। বাকি গান ও দৃশ্যের শুটিং হবে সিলেটে। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে চয়নিকা বললেন, ‘প্রহেলিকা অর্থ রহস্য। তাই শুটিং শেষের আগপর্যন্ত সবকিছু রহস্যই থাক।

তবে নিশ্চিত করে বলতে পারি, চলচ্চিত্রটি দেখার সময় দর্শকরা মেঝের দিকে তাকিয়ে পপকর্ন খাবে না, পর্দার দিকে তাকিয়েই তারা পপকর্ন খাবে।’ দেড় বছর ধরে ‘প্রহেলিকা’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছিলেন চয়নিকা চৌধুরী। কিন্তু এর মধ্যে নানা সংকটে পড়েছেন বলেও জানালেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ভালো কাজে বাধা আসবেই। যদি লক্ষ্য স্থির থাকে, তবে কোনো বাধাই বাধা নয়। কাজ শুরু করছি। একটা অসাধারণ টিম পেয়েছি, যারা ভাবছে এটা তাদেরই কাজ। এসব কাজের শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।’

অপু বিশ্বাসের ‘লাল শাড়ি’: মানিকগঞ্জে ‘লাল শাড়ি’ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করেছেন নির্মাতা বন্ধন বিশ্বাস। সরকারি অনুদানের এই চলচ্চিত্র অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করছেন অপু বিশ্বাস। চলচ্চিত্রে অপু বিশ্বাস ও সাইমন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, দিলরুবা দোয়েল, সুমিত সেনগুপ্ত, ডন প্রমুখ।

‘লাল শাড়ি’র শুটিং শুরু হয়েছে টাইটেল গান ‘লাল শাড়ি’ দিয়ে। প্রথম দিনে অপু বিশ্বাস ও সাইমন সাদিক গানের দৃশ্যে অংশ নেন। কোনাল ও কিশোরের গাওয়া এই গানটি ‘লাল শাড়ি’ চলচ্চিত্রের টাইটেল গান বলে জানালেন পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস।

অপু বিশ্বাস জানান, শাড়ি বাঙালি নারীর প্রধান পোশাক। গল্পটা শাড়ি ও তার কারিগরদের নিয়ে। আর লাল হচ্ছে ভালোবাসার প্রতীক। ভালোবাসা ছাড়া কোনো কিছু হয় না। এ জন্যই ‘লাল শাড়ি’ নামটি বেছে নিয়েছি। সবাইকে একটা সুন্দর চলচ্চিত্র উপহার দিতে চান বলেও জানালেন তিনি।

প্রথম দিনের শুটিং প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, নায়ক সাইমন ‘লাল শাড়ি’ বুনেন। সেই শাড়িতে নিজেকে মুড়িয়ে বিয়ের স্বপ্ন দেখেন অপু বিশ্বাস। কল্পনায় ভেসে আসে সুখের বিভিন্ন স্মৃতি ওই প্রেক্ষাপটে থাকে একটি গান। তেমনই প্রেক্ষাপটে গানের দৃশ্য ধারণের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের কাজ শুরু হয়েছে।

পরিচালক বলেন, একসময় এ দেশে দারুণ সমৃদ্ধ ছিল তাঁতশিল্প। সেই শিল্প দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। সেই বিষয়কে গল্পে উপজীব্য করেই ‘লাল শাড়ি’ চলচ্চিত্রের কাহিনি তৈরি হয়েছে।

পূজা চেরীর ভিডিও: সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব পূজা চেরি রায়। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন লুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় তাকে। পূজার সেই ছবিগুলো বরাবরই নেটিজেনদের নজর কাড়ে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি পোস্ট করেন পূজা।

হলুদ শাড়ির সঙ্গে কালো ব্লাউজ, চোখে কালো চশমা, হাতভর্তি চুড়ি, পায়ে হাই হিল পরে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন তিনি। কখনো শুয়ে বই পড়ছেন, কখনো বা লাল গোলাপ ঠোঁটে আটকে রেখেছেন। ছবিতে আবেদনময়ী এক পূজাকে আবিষ্কার করেছেন তার অনুরাগীরা।

এই ছবির পরেই ফটোশুটের ভিডিও প্রকাশ করেছেন পূজা। আর এই ভিডিও হুমড়ি খেয়ে দেখছে নেটিজেনরা। শুধু তাই নয় মন্তব্যের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। নেতিবাচক-ইতিবাচক দুই ধরনের মন্তব্যই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।