বছরজুড়ে নানান আলোচনায় থাকেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। ক’দিন আগে দুর্গাপূজার কার্নিভ্যালে হাজির হয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো নতুন বিতর্কে ‘ঠোঁটকাটা’ স্বভাবের এই অভিনেত্রী।
‘মিটু আন্দোলনের পর বদলে যাওয়া নারীবিশ্ব’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে হাজির হন এই অভিনেত্রী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে লিখেন, ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। হোক আলোচনা, বাড়াও চেতনা, মুক্ত হোক মন।’
এসব ছবির মধ্যে কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, এসএফআই-এর ‘প্রতিবাদী’ পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন স্বস্তিকা। যেখানে বড় বড় হরফে লেখা—‘আমাদের মন্দিরে আগামী সকালের আজান হোক ইস্পাত আলোর মরশুম।’ ব্যাস, এ লেখা দেখেই চটেছে নেটিজেনরা। অনেকে স্বস্তিকাকে নিয়ে ট্রল করছেন।
দিগন্ত ভক্ত নামের একজন লিখেছেন, ‘মানুষের মস্তিষ্ক চরম বিকৃত হলে তারা বামপন্থার নোংরামিটাকে আদর্শ হিসেবে বেছে নেই। সমাজের এক শ্রেণির সুখী মানুষ আছে যারা মানুষের দুঃখ, কষ্ট, আবেগ বোঝে না। শান্তি এদের পছন্দ নয়। মানুষের ভাব-আবেগে আঘাত করে মানুষের মধ্যে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে। একটা বিকৃত এবং উন্মাদ মানুষের কাল্পনিক ও উন্মাদ থিওরি(মার্কসবাদ)কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য এরা যা ইচ্ছে তাই করে যায়। দুর্ভাগ্যবশত এরা এই নোংরামোটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য শিক্ষাটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়াও মানুষকে আঘাত করে মজা পাওয়া এক প্রকারের রোগ।’
কল্পায়ণ চক্রবর্তী নামের আর একজন লিখেছেন, ‘আমাদের মসজিদে আগামী সকালের পুষ্পাঞ্জলি হোক’ এই লেখাটা দেখতে পেলাম না। ম্যানেজটা বেশ ভালোই দিলেন যাই বলুন।’
সুদীপ ঘোষ লিখেছেন, ‘মন্দিরে আজান খুব ভালো, সাহস করে মসজিদে কীর্তনটা লেখার জন্য বুকের পাটা দরকার হয়।’ বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন আর ট্রলের মুখে পড়লেও এখনো এসবের জবাবে মুখ খুলেননি স্বস্তিকা।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ