যারা ভেবেছিলেন শাকিব-বুবলী দ্য এন্ড! তাদের ভাবনায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক হলেন বীরের বাবা-মা শাকিব-বুবলী! তাও আবার রোমান্টিক আবহে। ব্যক্তিজীবনের সব তর্ক-বিতর্ক ছাপিয়ে দু’জনেই গতকাল শনিবার সকাল থেকে শুটিং করলেন তারা। হোটেলের লবিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রেমময় আবহে। এ ঘটনা তপু খানের ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’ ছবির রোমান্টিক গানের শুটিংয়ে।
সূত্র জানায়, মূলত, এই ছবিটি গত প্রায় ৯ মাস আটকে ছিল দুটি গানের জন্য। মাঝে শাকিব-বুবলীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় গানটির দুটি শুটিং করা সম্ভব হচ্ছিল না। সূত্র বলছে, এই কাজটি উদ্ধার করার জন্যই দু’জনকে কাছাকাছি করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন নির্মাতা তপু খান। আর কাছাকাছি হতে দু’জনকেই মানতে হয়েছে কিছু শর্ত। যে শর্তে ছিল স্ত্রী হিসেবে বুবলী আর পুত্র হিসেবে বীরকে প্রকাশ্যে মেনে নিতে হবে শাকিব খানকে। তবে বুবলীর প্রতি শাকিব খানের শর্ত কী ছিল, সেটি স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ে বা বিচ্ছেদ ইস্যুতে বুবলীর মুখ না খোলা!
এদিকে বিব্রতকর ‘বীর ঘটনা’ প্রকাশের পর থেকেই গত শুক্রবার সারাদিন গায়েব ছিলেন শাকিব-বুবলী। বাতিল করেছিলেন ওই দিনের সব সিডিউল। তবে গতকাল শনিবার সকাল থেকে ঠিকই কড়া নিরাপত্তায় শাকিব-বুবলীর শুটিং শুরু হয়।
সেই শুটিং ইউনিট থেকে একটি স্থিরচিত্র পৌঁছানো হয় গণমাধ্যমগুলোর অফিসে অফিসে। যেটা দেখে যে কেউ চমকে যাবেন। কারণ, দারুণ প্রেমময় মুডে রয়েছেন দু’জনে! যা দেখে বোঝার উপায় নেই- গত ছ’মাস কিংবা তারও বেশি সময় ধরে তাদের ওপর কতটা মানসিক ঝড় বয়ে গেছে; যাচ্ছে এখনও। এটাই সম্ভবত তারকাজীবন।
ফের একসঙ্গে কাজে ফেরা প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য মেলেনি দু’জনের পক্ষ থেকে। এমনকি নির্মাতাও চুপ। ফলে ইউনিটে ক্যামেরায় রোমান্টিক লুকের বাইরে বাস্তবের পরিবেশ কতটা স্বস্তিকর, সেটি এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না।
পরিচালক তপু খান আগেই জানিয়েছিলেন, ‘লিডার’র সব কাজ শেষ। শুধু দুটি গানের শুটিং বাকি ছিল। তারই শুটিং চলছে এখন। টানা দুদিন কাজ করে ক্যামেরা ক্লোজ হবে এই ছবির।
‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ অ্যাকশন, রোমান্টিক ও সামাজিক সচেতনতার ছবি। সংলাপ লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন দিল এবং যৌথভাবে চিত্রনাট্য করেন দেলোয়ার হোসেন দিল ও পরিচালক তপু খান। ধারণা করা হচ্ছে, শাকিব-বুবলীর এটাই শেষ ছবি।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শাকিব-বুবলী দু’জনেই জানান, তাদের সন্তান আড়াই বছরের শেহজাদ খান বীরের কথা। যা এতদিন নানা গুঞ্জনের ডাল-পালা ছড়িয়েছিল।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ