নব্বই দশকে রূপ আর সাহসিকতার জন্য ঢাকাই সিনেমায় আলোড়ন তুলেছিলেন চিত্রনায়িকা মুনমুন। এহতেশাম পরিচালিত ‘মৌমাছি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রূপালি পর্দায় আগমন ঘটে এই চিত্রনায়িকার। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একটানা সিনেমায় কাজ করেছেন।
মূলত ওই সময়ে লেডি অ্যাকশন সিনেমায় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন মুনমুন। এতে সফলতা পেলেও তার নামের সাথে জুড়ে যায় ‘অশ্লীল নায়িকা’র তকমা।
এ প্রসঙ্গে মুনমুন আক্ষেপ করে বলেন, আমি এমন একটা সময় চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছিলাম যখন সিনেমার রমরমা অবস্থা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য বলতে হয় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অশ্লীলতা গ্রাস করতে শুরু করল চলচ্চিত্রকে। আমিও এ সংকটের মধ্যে পড়ে গেলাম। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু নির্মাতা লেডি অ্যাকশন ফর্মুলায় সিনেমা বানিয়ে পোশাকে, ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলে কিংবা গানের দৃশ্যে অশ্লীলতা ঢুকিয়ে দিতেন।
তিনি আরো বলেন, আমার অভিনীত সিনেমায় এমন দৃশ্য সংযোজন করে দিতো যে দৃশ্যে আমি অভিনয় করিনি। নারী শিল্পীকে যারা ওই সময় পণ্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন পর্দায় তারা বেশিরভাগই আজ আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সেসব পরিচালক এর নাম আজও সবাই ঘৃণার সাথেই স্মরণ করেন। মুনমুন আক্ষেপের সুরে বলেন, শিল্পী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ছিল সে সময় প্রতিবাদ করা। কিন্তু করতে পারিনি। কারণ ওইসব প্রযোজক-পরিচালক কিছু অসাধু প্রশাসনিক লোক ও মাফিয়াদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলতেন। আমি তখন অসহায় ছিলাম।উল্লেখ্য, ‘টারজান কন্যা’, ‘মৃত্যুর মুখে’, ‘রাজা’, ‘মরণ কামড়’, ‘রাণী ডাকাত’, ‘আজকের সন্ত্রাসী’ সহ অসংখ্য সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী। বর্তমান সময়ের দেশ সেরা নায়ক শাকিব খানের প্রথম ব্যবসাসফল সিনেমার নায়িকাও ছিলেন মুনমুন। সিনেমার নাম ‘বিষে ভরা নাগীন’।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ