২০২০ সালের ডিসেম্বরে তরুণ নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি এবং সালেহ সোবহান অনিমের পরিচালনায় মুক্তি পায় ওয়েব সিরিজ ‘তাকদীর’। মুক্তির পরই আলোড়ন তোলা সিরিজটি দেশে-বিদেশে সেরা ওয়েব সিরিজ, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতাসহ বেশ কিছু পুরস্কার জিতে নেয়। সিরিজটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন চঞ্চল চৌধুরী।
এর দুই বছর পর জনপ্রিয় এই জুটি আবার হইচইয়ে ফিরে আসছে অরিজিনাল সিরিজ ‘কারাগার’ নিয়ে। চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রের যে লুক প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর চর্চা চলছে।
চরিত্রের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য অনেকটা ওজন ঝরাতে হয়েছে। বসে যাওয়া গাঢ় লাল চোখ, কঙ্কালসার শরীরে চটের তৈরি প্রাচীনকালের কয়েদীদের পোষাক, ছোট করে ছাঁটা চুলে তার যেমন লুক, সেরকম তাকে এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
প্রকাশিত টিজারে গল্পের খুব বেশি প্রকাশ না থাকলেও এটুকু বোঝা গেছে একেবারেই রহস্যময় এক চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে। যিনি কারাগারের ৫০ বছর ধরে বন্ধ একটি সেলে বন্দি!
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘কারাগার সিরিজটি আমার অন্য কাজগুলো থেকে বেশ আলাদা। সিরিজটি বেশ ইন্টারেস্টিং, আর ক্যারেক্টারটা আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছে। এ ধরনের ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য সবকিছু নিখুঁত হতে হয়। আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। ওজন কমানো, মেকআপের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা, কস্টিউম সব কিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য অভাবনীয় এফোর্ট দিতে হয়েছে। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে জানতাম যে আমরা কি করতে চাইছি। এখন দেখা যাক কাজটা দর্শকদের কেমন লাগে।’
সিরিজটির গল্প আকাশনগর সেন্ট্রাল জেল নিয়ে। যেখানে ৩২৫ জন কয়েদী। একদিন হেড-কাউন্টের সময় দেখা গেছে গোনার বাইরে একজন অতিরিক্ত কয়েদী। কয়েদী কম হলে চিন্তার বিষয়, বেশি হলে আরো চিন্তার বিষয়। কে এই কয়েদী? আর যে সেল কিনা গত ৫০ বছর ধরে বন্ধ, সে এই ১৪৫ নাম্বার সেলে কীভাবে এলো?
কারাগার সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, এ কে আজাদ সেতুসহ আরো অনেকে।
নয়া শতাব্দী/ এডি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ