ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রেলারে বাঁকবদল

প্রকাশনার সময়: ১৪ জুলাই ২০২২, ১১:১৬

একটি সিনেমা কেমন হবে সেই ইঙ্গিত মেলে ট্রেলারে। দর্শকরদের সঙ্গে এটি প্রাথমিক পরিচয়-পর্ব। বেশির ভাগ সিনেমার ক্ষেত্রেই ট্রেলারের দৈর্ঘ্য হয় তিন মিনিটের মতো। ইতিহাস বলছে, ১৯১৩ সাল থেকে নিয়মিত তৈরি হচ্ছে সিনেমার ট্রেলার। এ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া ৯০ ভাগ সিনেমারই ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে।

দর্শকমহলে বেশকিছু বাংলা ছবির ট্রেলার প্রশংসা কুড়িয়েছে সম্প্রতি। এর মধ্যে রয়েছে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’, সাজ্জাদ খানের ‘সাহস’সহ অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’ এবং রায়হান রাফির ‘পরান’ ছবির ট্রেলার। এমন বাঁকবদলে ফেসবুকের সিনেমাবিষয়ক গ্রুপগুলোয় ভক্তরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কেউ প্রশংসা করেছেন ক্যামেরা-কাজের, কারো ভালো লেগেছে সংগীত। এছাড়া গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘গলুই’, ‘শান’, ‘বিদ্রোহী’ ও ঈদের পর মুক্তি পাওয়া ‘পাপ পুণ্য’, ‘তালাশ’, ‘অমানুষ’সহ বেশির ভাগ সিনেমার ট্রেলার প্রশংসা পেয়েছে। বাংলাদেশের সিনেমার ট্রেলারে বড় বদল এসেছে, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক ভক্ত। জানা গেছে, ট্রেলার দিয়ে দর্শক আকৃষ্ট করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাংলাদেশিরা তো বটেই, মেজবাউর রহমানের ‘হাওয়া’র ট্রেলারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অনেক পরিচিত ইউটিউবারও। ট্রেলার প্রসঙ্গে মেজবাউর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি সিনেমা বানাতে চেয়েছি। গভীর সমুদ্রের গল্প। ট্রেলারজুড়ে মানুষ গভীর সমুদ্রের নানা পরিস্থিতি দেখেছেন। সমুদ্র মানে শুধু সমুদ্র। তীরের নামগন্ধ নেই। সমাজে আমরা যেভাবে বাস করি, সে ধরনের দৃশ্য এখানে নেই। যেহেতু ভিন্ন প্রেক্ষাপট, তাই ট্রেলারটি হয়তো সবার কাছে আলাদা লেগেছে। এটা আমাদের সার্থকতা।’

‘হাওয়া’র কালার গ্রেডিং, সংগীত, ক্যামেরার কাজগুলো আলাদাভাবে নজর কেড়েছে দর্শকদের, যা নিয়ে আনন্দিত পরিচালক মেজবাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘ট্রেলারের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের অনেক প্রশংসা পাচ্ছি। এটা আমার ব্যান্ডের (মেঘদল) গিটারিস্ট শোয়েব করেছে। ইন্ডাস্ট্রির প্রফেশনালদের সহায়তা ছাড়াই আশপাশের মানুষ, বন্ধুরা মিলেই পুরো সিনেমার সব কাজ করেছি।’

গত কয়েক বছরে যেসব ছবির ট্রেলার প্রশংসিত হয়েছে, তার মধ্যে ‘মিশন এক্সটিম’-এর ট্রেলার একটি। সিনেমাটির পরিচালক সানী সানোয়ার দর্শকদের আকৃষ্ট করতে আলাদাভাবে নজর দিয়েছিলেন ট্রেলারে। পরিচালক বলেন, ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর সময়ও আমরা আলাদা দক্ষ দক্ষ পেশাদার দিয়ে ট্রেলার কাটিয়েছি। কারণ, তাদের ধারণাটাই আলাদা। ট্রেলার সিনেমার কোয়ালিটি, আয়োজন, আর্টিস্ট, স্টোরি সম্পর্কে ধারণা দেয়, যা দেখে দর্শকরা সিদ্ধান্ত নেন সিনেমাটি দেখবেন কিনা। এজন্য ট্রেলার বানানোর আলাদা পেশাদার লোক দরকার। আমরা ট্রেলারের জন্য আলাদা বাজেট রাখি। এজন্য ট্রেলারের কাজ দেশের বাইরে করে সিনেমার মান ধরে রাখতে চাই।’

শুধু সিনেমা হলে দর্শক টানতেই নয়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোও দর্শক টানতে প্রধানত গুরুত্ব দিয়ে থাকে ট্রেলারকে। এ ক্ষেত্রে ওটিটিগুলোর প্রতিযোগিতা আরো বেশি। এ বিষয়ে চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘নির্মাতা তার সিনেমা নির্মাণ করেন। কিন্তু ট্রেলার নির্মাণে আমাদের অনেক ইনপুট থাকে। এজন্য আমাদের আলাদা পেশাদার টিম আছে। তারা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনে নতুন করে ট্রেলার বানায়। সাবস্ক্রিপশন ব্যবসায় এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেলারে ইতিবাচক সাড়া অবশ্যই প্রয়োজন।’

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ