ক্যাপ্টেন আমেরিকা
‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ চরিত্রের জন্য বিখ্যাত অভিনেতা ক্রিস ইভানস। ক্যাপ্টেন আমেরিকা বা অ্যাভেঞ্জার্সই শুধু নয়, মারভেলের কমিকসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’, ‘স্কট পিলগ্রিম ভার্সেস দ্য ওয়ার্ল্ড’ ছবিগুলোতেও দেখা গেছে তাকে। অথচ ছোটবেলায় এসব কমিকস নাকি ক্রিসের একেবারেই ভালো লাগত না! এমনকি প্রথম যখন ক্যাপ্টেন আমেরিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, তিনি তা করতে চাননি। যদি এর সাফল্য তার ব্যক্তিজীবনে প্রভাব ফেলে! অবশ্য ভুল কিছু যে ভেবেছিলেন, তা নয়। আয়রনম্যান
অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রবার্ট ডাউনি সিনিয়রের ছেলে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র বিখ্যাত হয়েছেন পর্দার ‘আয়রনম্যান’ হিসেবে। অথচ এই সুপারহিরো ছোটবেলায় নেশায় আসক্ত ছিলেন। পরে বাবার কয়েকটি চলচ্চিত্রে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। সবকিছু পাল্টে যায় চ্যাপলিন ছবিটি করার পর। চার্লি চ্যাপলিনের চরিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। মাঝে কিছুদিন আবার অভিনয় থেকে সরে গেলেও পরবর্তী সময়ে আবার ‘সিংগিং ডিটেকটিভ’, ‘ট্রপিক থান্ডার’ চলচ্চিত্রগুলোর মাধ্যমে ফিরে আসেন রবার্ট। এরপর তার হাতে আসে ‘আয়রনম্যান’ চলচ্চিত্রটি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন হয়নি।
হাল্ক
২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হাল্ক’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন এরিক বানা। মারভেলের সুপারহিরোদের মধ্যে হাল্কও মন জয় করে নেন দর্শকদের। অস্ট্রেলিয়ান এই অভিনেতার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ‘স্কেচ কমেডি’ নামের একটি টিভি সিরিজ দিয়ে। কিন্তু দীর্ঘ সংগ্রামের পর জীবনীভিত্তিক ক্রাইম ছবি ‘চপার’ দিয়ে নজরে আসেন পরিচালকদের। এরপরই সুযোগ আসে ‘হাল্ক’ ছবিতে অভিনয়ের। আর পেছনে তাকাতে হয়নি! দুনিয়াব্যাপী জনপ্রিয় তারকা হয়ে উঠেন এরিক। ‘হাল্ক’র পর ‘ট্রয়’ ছবিতে হেক্টর হিসেবেও পরিচিত এই অভিনেতা।
স্টার লর্ড
ছোটবেলায় রেসলিংয়ে বেশ ভালো ছিলেন ক্রিস প্র্যাট। তবে কোনো কিছুতেই খুব বেশিদিন মন ধরে রাখতে পারেননি এই অভিনেতা। কলেজ শুরু করে অর্ধেকে ছেড়ে দেন তিনি। টিকিট বেচা, স্ট্রিপার হিসেবে কাজ করা— কোনো কিছুই বাদ রাখেননি তিনি। ক্রিস প্র্যাটের তখন থাকার ঘর ছিল না। ১৯ বছর বয়স তখন প্র্যাটের। তখন একদিন হোটেলে কাজ করার সময় পরিচালকের চোখ পড়ে তার ওপর। হরর চলচ্চিত্রের জন্য অভিনয় করেন ক্রিস। সেই শুরু। এরপর একটু একটু করে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন ক্রিস প্র্যাট। প্রথমে স্টার লর্ডের চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি এই অভিনেতা। তবে পরে ‘গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি’কে না বলতে পারেননি।
উলভারিন
বিখ্যাত হওয়ার আগে নিজের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতেই হিমশিম খেতে হতো ‘উলভারিন’ অর্থাৎ হিউ জ্যাকম্যানের। টিনএজে একটি গ্যাস স্টেশনে রাতের শিফটে বছরের পর বছর কাজ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বাচ্চাদের পার্টিতে ক্লাউন সাজতেন। কমিউনিকেশনের ওপর পড়াশোনা করছিলেন। ইচ্ছে ছিল ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হবেন। কিছু ক্রেডিট কম ছিল বলে ড্রামাটিকস (নাট্যকলা) কোর্স নেন। সবাই জানেন, বাকিটা ইতিহাস!
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ