ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদুল আজহার ছবি নিয়ে তোড়জোড়

প্রকাশনার সময়: ২০ মে ২০২২, ০৯:৪১ | আপডেট: ২০ মে ২০২২, ০৯:৪৬

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো দর্শক পাওয়ায় চলচ্চিত্রাঙ্গনে খুশির জোয়ার। এই পরিপ্রেক্ষিতে আসছে কোরবানি ঈদের ছবি নিয়েও ইতোমধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে পারে তিন নায়কের বিগ বাজেটের তিনটি ছবি। এগুলো হলো শাকিব খানের ‘অন্তরাত্মা’, অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’, সিয়াম আহমেদের ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ও জিয়াউল রোশানের ‘রিভেঞ্জ’। চারটি ছবি নিয়ে সিনেমা হল মালিকরাও বেশ আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

‘অন্তরাত্মা’ পরিচালনা করেছেন ওয়াজেদ আলী সুমন। শাকিবের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার দর্শনা বণিক। ছবিটি প্রযোজনা করেছে তরঙ্গ এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার সোহানী হোসেন। সিনেমাটির গল্পও তারই লেখা।

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’। যদিও শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। এবার ঈদুল আজহায় ছবিটি মুক্তির সম্ভাবনা প্রবল বলে জানিয়েছে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি। ‘দিন দ্য ডে’ ছবিতে অনন্ত জলিলকে দেখা যাবে আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে। বিভিন্ন সন্ত্রাসগোষ্ঠী দমন অভিযানে অংশ নেবেন তিনি। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে এ ছবি। পরিচালনা করেছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। সিনেমায় অনন্ত জলিল, বর্ষা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইরান ও লেবাননের অভিনেতারা।

সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত করার অভিযান নিয়ে নির্মাতা দীপংকর দীপন বানিয়েছেন ‘অপারেশন সুন্দরবন’। রোমাঞ্চকর এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, তাসকিন রহমান, জিয়াউল রোশান, রাইসুল ইসলাম আসাদ ও নুসরাত ফারিয়া প্রমুখ। র‍্যাব ওয়েলফেয়ার কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অর্থায়নে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে থ্রি হুইলারস লিমিটেড। সংলাপ রচনা করেছেন নাজিম-উদ-দৌলা।

মূলত চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য এবারের ঈদে দর্শকদের হলমুখী হওয়ার বিষয়টি ‘সিনেমা ঘুরে দাঁড়ানোর সবুজ সংকেত’ হিসেবে দেখছেন চলচ্চিত্রের মানুষজন। তাদের ভাষ্য, ‘হলমুখী এই দর্শকদের ধরে রাখতে হলে পরিচালক ও প্রযোজকদের ভাবতে হবে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে সিনেমার সুদিন ফিরবে।’

চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াত বলেন, ‘এই ঈদে ছবি দেখার জন্য দর্শক হলে ফিরেছে, এটা চলচ্চিত্রকারদের জন্য দারুণ খবর। এই ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করা যায় সে জন্য সবাইকে মিলে এগোতে হবে। দেশের সিনেমা বাঁচাতে আমাদের শেষ লড়াইটা এবার করা প্রয়োজন। তাই এখন দর্শকদের জন্য সেরা গল্পের সেরা ছবি নির্মাণ করতে হবে।’

এবারের ঈদে দীর্ঘ কয়েক বছরের বিরতির পর সিনেমা হলের সামনে দেখা গেছে লম্বা লাইন। ছবি দেখতে ভিড়। এটি সম্ভব হয়েছে মানসম্মত এবং দর্শক পছন্দের ছবির কারণে। টানা লোকসানের মুখে প্রযোজকরা যখন চলচ্চিত্র নির্মাণে মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তখনই দেখা গিয়েছে ভিন্ন চিত্র। এবারের ঈদ উৎসবে হলে ফিরেছে দর্শক। ফের প্রমাণ হয়েছে দেশে ভালো সিনেমার দর্শক সবসময়ই থাকে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘সিনেমা হলে সব শ্রেণি ও সপরিবারে দর্শক আবার ফিরেছে। কারণ তারা তাদের পছন্দের ছবি পেয়েছে। এখন পরিচালক ও প্রযোজকদের উচিৎ ভালো ছবি নির্মাণ অব্যাহত রাখা। চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরানোর একমাত্র পথ পর্যাপ্ত ও মানসম্মত দর্শক পছন্দের ছবি।’

বর্ষীয়ান পরিচালক মতিন রহমান বলেন, ‘দর্শক এবার ঈদের নির্মিত ছবিগুলো দেখে আনন্দিত। এটা সুখবর। গল্প বাছাই ও গল্প বলার ধরন ভালো ছিল বলেই প্রেক্ষাগৃহে এসে সিনেমা দেখেছেন দর্শক। এই সুনির্মাণের ধারা বজায় রাখতে হবে। তাহলে সিনেমা হলে দর্শক ফেরার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।’

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ