ঈদুল ফিতরে টেলিভিশন, ইউটিউব ও বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচার হয়েছে সহস্রাধিক নাটক। যেগুলোর অধিকাংশই কমেডি ধাঁচের গল্পে নির্মিত। এর মধ্যে ব্যতিক্রম তিনটি নাটকও চোখে পড়েছে। এই নাটকগুলো নির্মিত হয়েছে হরর বা ভূতের কাহিনী অবলম্বনে। ভূতময় এই অন্যরকম নাটকগুলো নিয়েই এই ফিচার।
হরর গল্পের নাটক নির্মাণে এগিয়ে আছেন নাট্যনির্মাতা ভিকি জাহেদ। এবারের ঈদে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘চম্পা হাউজ’ ও ‘চোখ’ শিরোনামে দুটি হরর নাটক। নাটক দুটি ইতোমধ্যেই দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে।
‘চম্পা হাউজ’ নাটকে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। পুরান ঢাকার একটি পুরোনো বাড়ি মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়ার গল্পে নির্মিত হয়েছে এটি। ওই বাড়িতে ঘটে বিভিন্ন অঘটন। ভূতের আনাগোনায় বিপাকে পড়েন বাড়ির মালিক। ঘটতে থাকে একের পর এক গা ছমছমে ঘটনা। নাটক দেখতে দেখতে যেকোনো দর্শকও শিহরিত হয়ে যেতে পারেন ঘটনাগুলোয়! নাটকের গল্প লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা। মেহজাবীন অভিনয় করেছেন ভয়ঙ্কর ভূতের চরিত্রে। আর নিশো নাটকে বিজ্ঞানের ছাত্র। ভূত-প্রেত নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজে উৎসাহী একজন। বিশ্বাস করেন ভূত-প্রেত বলে কিছু নেই এবং মানুষকেও তিনি সেটাই বিশ্বাস করতে বলেন। এক পর্যায়ে নিশো হাজির হন সেই চম্পা হাউজে, যেখানে ভূতের আতঙ্কে দিন পার করছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা।
‘চোখ’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা ও তৌসিফ মাহবুব। নাটকে তৌসিফের প্রেমে পড়েন তিশা। এদিকে, তৌসিফ প্রেম করছেন প্রভাবশালী এক পরিবারের মেয়ের সঙ্গে। তাদের বিয়েও চূড়ান্ত হয়ে আছে। কিন্তু তিশা সারাক্ষণ তৌসিফের কথা ভাবতে ভাবতে হ্যালুসিনেশনে ভুগতে থাকেন। রাস্তায় হাঁটতে থাকলে গাড়ি চাপা পড়বেন, এমন মুহূর্তে দরবেশের মতো এক আগন্তুক তাকে প্রাণে বাঁচান। লোকটি তাকে একটা ‘চোখ’ উপহার দেন তিশাকে। বলেন, চোখ তার তিনটি ইচ্ছা পূরণ করবে। চোখের কাছে, তিশা প্রার্থনা করেন তৌসিফকে। প্রেম হয় তাদের। এদিকে প্রাক্তন প্রেমিকার হাতে খুন হন তৌসিফ। ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। জম্বি রূপে ফিরে আসেন তৌসিফ। ঘটতে থাকে ভয়ানক সব কর্মকাণ্ড।
এবার ঈদে ভৌতিক গল্পের নাটক নির্মাণ করেছেন সালাহউদ্দিন লাভলু। শিরোনাম ‘হারাধনের একটি বাগান’। নাটকটি মূলত নির্মাতার ‘হারকিপ্টে’ নাটকের সিক্যুয়েল। চঞ্চল চৌধুরী ও শাহনাজ খুশি হাজির হয়েছেন ভূতের অবতারে। হারাধনের বাগানে তারা ঘুরে বেড়ান এবং মানুষের বিভিন্ন কর্মাকাণ্ড দেখেন। নাটকে হারাধনের ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বৃন্দাবন দাস। হারাধনের দুই নাতির চরিত্রে অভিনয় করেছেন বৃন্দাবন-খুশির দুই ছেলে দিব্য ও সৌম্য। নাটকে তাদের রয়েছেন পরান ও হারান নামে দুই ভাইয়ের চরিত্রে। কমেডি ধাঁচের এ নাটকে একটি চরিত্রে রয়েছেন নাজনীন চুমকি। বিভিন্ন হাস্যরসাত্নক ঘটনায় নির্মিত এ নাটকটির গল্প লিখেছেন বৃন্দাবন দাস।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ