তরুণ নির্মাতা সজিব চিশতির প্রাচীরে তারা তিনজন। নাটকটির দেখা মিলবে বৈশাখী টিভিতে।
নাটকটির গল্প গড়ে উঠেছে সন্তানের প্রতি মায়ের মমতা ও ভালোবাসার উপর। সন্তানের জন্য একজন মা কতটা ত্যাগী ও সাহসী হয়ে উঠতে পারে সেটাই এই গল্পের মূল বিষয়। একজন সাধারণ মা তার মেয়েকে সুখি দেখার জন্য সারা জীবন ধরে লড়ে যায়। গল্পে আয়শা বেগম সারা জীবন অভাব অনটনের মধ্যে বাস করলেও সে কখনো চায় না তার মেয়েও অভাবের মধ্য দিয়ে জীবন কাটাক। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বড়লোক জামাইর কাছে মেয়েকে বিয়ে দেয় কিন্তু একটা সময় গিয়ে সে বুঝতে পারে টাকাই মানুষের আসল সুখ নয়। ভালোবাসাহীন সম্পর্কের মাঝে যত টাকা পয়সাই থাকুক তাতে কোন সুখ নেই। নাটকটিতে ধনী গরীবের মাঝখানো অদৃশ্য একটি প্রাচীর থাকে যেটা কেউ চাইলেই টপকে পাড় হতে পারে না। প্রতিটি মানুষকে সমাজের অবস্থানের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই প্রাচীর চিরন্তন।
মা চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনিরা মিঠু। মেয়ে চরিত্রে নাজিয়া হক অর্ষার অভিনয় দর্শকদের মন ছুয়ে যাবে। মেয়ের জামাই চরিত্রে হাসান জাহাঙ্গীর তার সেরা অভিনয়ের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
মুনিরা মিঠু বলেন, সজিবের গল্পে কাজ করতে সব সময় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রাচীর দর্শকদের মনে জায়গা করে নেবে এমনটাই প্রত্যাশা গুণী এই অভিনেত্রীর।
হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, ভালো গল্পের কাজ করতে সব সময় মুখিয়ে থাকি। প্রাচীর গল্প প্রধান নাটক। সজিব অনেক পরিশ্রমী ও মেধাবী নির্মাতা। প্রাচীর নাটকটি মানুষ মনে রাখবে আজীবন। অভিনেত্রী অর্ষা বলেন, প্রাচীর একটি পরিচ্ছন্ন গল্পের নাটক। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি ভালো একটি কাজ উপহার দিতে। নাটকটিতে মুনিরা মিঠু, হাসান জাহাঙ্গীর, নাজিয়া হক অর্ষা ছাড়াও অভিনয় করেছেন মৌ শিখা, শাহারিয়ার চয়ন ও আইভী।
নাটকটির পরিচালক সজিব চিশতী নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘এই নাকটি আমার পরিচালনার মধ্যে অন্যতম একটি নাটক। যেটা দেখলে সবাই বুঝতে পারবে মা কতটা আপন, একজন মা সন্তানদের কতটাই ভালোবাসে। এই নাকটি করতে পেরে সত্যি আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ