বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক থামছেই না। এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে নিপুণের আপিল ইস্যু।
নিপুণের দাবি- বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সবাই কাজ করেছেন জায়েদ খানের পক্ষে। আর তাই ফলাফল গিয়েছে তার বিপক্ষে। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হতে জায়েদ খান ‘নোট দিয়ে ভোট’ কিনেছেন বলেও দাবি করেছেন নিপুণ৷
যদিও নির্বাচনের দিন থেকেই এ অভিযোগ করে আসছেন নিপুণ৷ ফল প্রকাশের পর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ- জায়েদ ও তার প্যানেলের হয়ে কার্যকরী সদস্যপদে জয়ী চুন্নু ভোটারদের টাকা দিয়েছেন বলে একটি ভাইরাল ভিডিও জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই চলছে অভিযোগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
সূত্রমতে, এ দুই জনের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থীতা বাতিলের দিক নির্দেশনা চেয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্য অধিকার শাখার উপ-পরিচালক রকিব আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৯৬১ সালের সেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-তে বলা আছে আমাদের নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচনে তদন্তপূর্বক অনিয়ম পায় তাহলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। আমরা গঠনতন্ত্রকে বাইবেল হিসেবে ধরি৷ গঠনতন্ত্রে যদি আমরা সমাধান না পাই সেক্ষেত্রে আমরা আইনের কাছে যাই, দেখি যে আইনে কি বলা আছে।’
জানা গেছে, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে৷
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ