স্বনামধন্য নাট্য সংগঠন জাগরণী থিয়েটারের ২৭ বছরপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা, গুণীজন সংবর্ধনা এবং শেষে ‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটকের মঞ্চায়ন।
আগামী ১ জানুয়ারি শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল গনি, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অরুণা বিশ্বাস, অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি রাশেদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে সংবর্ধনা দেবে সাভারের সংস্কৃতিকর্মীরা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপনসিভ সেবা ক্যাটাগরিতে ‘জাতিসংঘ সেবা পদক ২০২১’ অর্জন এবং জাগরণী থিয়েটারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সহযোগিতা করায় ডা. মো. এনামুর রহমানকে এ সংবর্ধনা দেয়া হবে।
সবশেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী ঢাকার প্রযোজনা ‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটক মঞ্চায়ন হবে। আব্দুল হালিম আজিজ রচিত ‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন স্মরণ সাহা। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন রফিফুল ইসলাম, সজিব ঘোষ, বিধান বিশ্বাস, আরিফ ফারহান খান, পল্লব সরকার, শেখ ফিরোজ, শ্রাবণ সূত্রধর, ইমন হোসেন, শ্রেয়া সাহা, আশরাফুন্নেচ্ছা বর্ষা, মো. আহনাফ। নাটকের কোরিওগ্রাফি করেছেন অনিকেত পাল, আলো অম্লান বিশ্বাস, নির্দেশনা সহযোগী শাহানা জাহান সিদ্দিকা, পোষাক পরিকল্পনা সঞ্জয় নাহা, আবহ সঙ্গীত শোয়েব হাসনাত মিতুল ও শেখ আকাশ।
‘জনকের মৃত্যু নেই’ নাটকে গতানুগতিক ধারার বাইরে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ থেকে তার সংগ্রামী জীবনের নানা চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিপীড়িত মানুষের মুক্তির মহামানব বঙ্গবন্ধু। যার অকুতোভয় নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙ্গালী উড়িয়েছে লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধু ও বাঙ্গালীর বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার আগেই তাকে হত্যা করে বাঙ্গালীর বিজয়কে অন্ধকারে ঢেকে দেয়। শুধু তাই নয় হত্যাকারীদের বাঁচাতে জারি করা হয় ইনডেমনিটি এ্যাক্ট, একই সময় যারাই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবী করেছে সামরিক জান্তারা তাদেরই টুটি চেপে ধরেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হলো এই বাংলার অমর কাব্যের কবি, কোন শাসকই বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। ২১ বছর পর বাতিল হয়েছে কালো আইন। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে হত্যাকারীদের। বঙ্গবন্ধুর আলো ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, সে আলোয় আলোকিত আমরা সবাই।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ