ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইমতিয়াজ বুলবুলকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ

প্রকাশনার সময়: ১০ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৩৯

প্রয়াত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ লিখছেন শিল্পীরা। আগামী ২২ জানুয়ারি এই কিংবদন্তির প্রয়াণ দিবসে ‘বাংলা সংগীতের কিংবদন্তি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল’ শিরোনামে প্রকাশ পাবে গ্রন্থটি। বইটির জন্য লেখা সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেছেন গাজী তানভীর। তিনি জানান, ইতোমধ্যে বুলবুলের সুর-সংগীতে গাওয়া বেশির ভাগ শিল্পীর কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ করা হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করছেন ধ্রুব এষ।

তানভীর বলেন, ‘বুলবুল স্যারের পরিবারের আগ্রহেই বইটি করা। ২০১৩ সাল থেকে স্যারের মৃত্যুর দিন পর্যন্ত (২০১৯) আমি ছিলাম তার সঙ্গী। তার আত্মজীবনী লেখার দায়িত্বও আমাকে দিয়েছিলেন। হঠাৎ তার মৃত্যুর পর আর গুছিয়ে উঠতে পারিনি। এবার এই স্মারকগ্রন্থের মাধ্যমে সেই অপারগতা কিছুটা হলেও লাঘব করতে চাই।’

সংগীত পরিচালনার দীর্ঘ ক্যারিয়ার বুলবুলের। ২০১০ সালে একটি ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি, কিউ খোকনের ‘গুরুভাই’। তাকে দিয়ে অভিনয় করানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি লেখা দিয়েছেন খোকন। খোকন বলেন, ‘আমি যখন সহকারী পরিচালক তখন থেকেই বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। তিনি অনেক ছবিতেই অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ছবিটিই করেছেন। কেন তিনি অভিনয় করলেন, ক্যামেরার সামনে তিনি কেমন ছিলেন সেই সব নিয়েই লেখাটা লিখেছি।’

বুলবুলকে নিয়ে এর মধ্যে লেখা দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন। তিনি লিখেছেন, ‘বুলবুলকে চিনতাম অনেক আগে থেকেই, তখন সে সহকারী সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করে। তবে সে গান লিখতে পারবে বা এত বড় মাপের সুরকার-সংগীত পরিচালক হতে পারবে বুঝতে পারিনি। যত দিন গেছে ততই সে নিজেকে চিনিয়েছে। আমার ক্যারিয়ার অনেকটা সমৃদ্ধ হয়েছে বুলবুলের গানে। ‘সবকটা জানালা খুলে দাও না’ বা ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’সহ অসংখ্য গান করেছি বুলবুলের সুর-সংগীতে। আমিই তার একুশে পদকের জন্য আবেদন করেছিলাম। সরকার আমার আবেদনে সাড়া দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ সরকারের প্রতি। একজন বুলবুল বাংলা সংগীতে বারবার আসবে না। সে যেমন ভালো মানুষ ছিল, তেমন ছিল অনেক মানবিক দিক। আমাদের আরো অনেক কিছু পাওয়ার ছিল তার কাছ থেকে।’

বুলবুলের ছোট বোন রুখসানা মুকুল বলেন, ‘আমাদের পরিবার থেকে তানভীরকে গ্রন্থটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব দিয়েছি। তাকে যত ধরনের সহযোগিতা করার, করব আমরা। বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি। মা-বাবার কাছে তিনি কেমন ছিলেন, ভাই-বোনদের কাছেও তিনি কেমন ছিলেন, সেগুলো গ্রন্থটিতে উঠে আসবে।’

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ