ঢাকা, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬

লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে এবার ঝুমুর আসমা জুঁইর ‘রসের কুটুম’

প্রকাশনার সময়: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৬ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৯

নতুন বছরের শৈল্পিক আনন্দ নিয়ে ১১ জানুয়ারি ২০২৫-এ শুরু হলো ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বরাবরের মতো এবারের উৎসবে দেশি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিদেশী চলচ্চিত্র। এরই মধ্যে এ চলচ্চিত্র উৎসবের ঝলকানিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা।

দেশি নির্মাতাদের মধ্যে লোকজ শিল্প নিয়ে যারা সিনেমা নির্মাণ করেন ঝুমুর আসমা জুঁই তাদের অন্যতম। এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫-এ জুঁইয়ের নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র 'রসের কুটুম'-এর দুটি প্রদর্শনী থাকছে। সিনেমা বক্স প্রযোজিত 'রসের কুটুম'-এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার, বিকেল সাড়ে ৫টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে। এরপর ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে।

আজকের পৃথিবী ধীরে ধীরে মৃত্যপুরীতে রূপ নিচ্ছে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায়। দালানকোঠা তৈরি করার জন্য গ্রামে-গঞ্জে অনেক গাছ কাটা হয়, খেঁজুর গাছ তার অন্যতম।

শুক্কুর আলী একজন গুড় তৈরির শিল্পী, গ্রামের ভাষায় বলে গাছি। গুড় তৈরির জন্য মাসের পর মাস বাড়ী থেকে দূরে খোলা জায়গায় তাঁবু অথবা টিনের ঘর বানিয়ে থাকতে হয় এই গাছিদের। কুয়াশায় শীতের রাতে কাঁপতে কাঁপতে গাছে উঠে রস নামায় তারা, আলো ফোঁটার আগেই সনাতন পদ্ধতিতে খেঁজুর/পাটালি গুড় বানায় এই কারিগররা। যখন এই খেঁজুরের রস গাঢ় সোনালী রং নিয়ে গুড়ে রুপান্তরিত হয়, দেখতে বেশ নান্দনিক লাগে। খেঁজুরের রস যেমন সুস্বাদু, তেমনি মজার। গুড় বানানোর পদ্ধতিও একটু ভিন্নরকম।সবচেয়ে বড় কথা এটা বানাতে বা সংরক্ষণে কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না।

নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁই বলেন, 'খেজুরের গুড় তৈরির ইতিহাসকে ধরে রাখার তাগিদ অনুভব করলে গুড় তৈরির এই সনাতন পদ্ধতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই হবে। কারণ গুড় তৈরির প্রক্রিয়ায় যে পরিশ্রম হয় তার প্রতিদান কারিগররা কখনোই পান না।' তিনি বলেন, 'খেজুরের গুড়ের গুণগত মান আকর্ষণীয়। খেঁজুরের রস ও গুড় বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এতে দেশ ও গুড়ের কারিগর উভয়েই উপকৃত হবে।'

২১তম ও ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে ঝুমুর আসমা জুঁইয়ের নির্মিত 'দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস' এবং 'পালকি' প্রশংসিত হয়। জুঁইয়ের উল্লেখযোগ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হল 'ভাস্কর্য ও মাটির ময়না', 'পুতুল পুরাণ', 'রথ যাত্রার বাকি ইতিহাস' ইত্যাদি।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ