অভিনয় তো আছেই, এর বাইরে একজন প্রাণী-প্রেমিক হিসেবেও অনেকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। শুধু সারমেয় নয়, অন্য পশুপাখির জন্যও তার হৃদয় অবারিত। এবার সেই ভালোবাসার স্বীকৃতি পাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
পশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন দ্য পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার (পাও) প্রথমবারের মতো পুরস্কার প্রদান করতে যাচ্ছে প্রাণীপ্রেমিদের। আর সেই তালিকায় প্রথমদিকে আছেন জয়া আহসান। এছাড়াও ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামও এটি পাচ্ছেন।
গতকাল বিশ্ব পশু দিবসে ‘প্রাণবিক বন্ধু’ নামের এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে পশু উদ্ধারকারী, চিকিৎসক, সংগঠকসহ ১০ জনের নাম উপস্থাপন করা হয়। ফাউন্ডেশনটি জানায়, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন হচ্ছে। তবে করোনার কারণে এখনই পুরস্কারটি জয়ার হাতে যাচ্ছে না। এটি আগামী নভেম্বরে প্রদান করা হবে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলে, ‘অনেক মানুষ পশুদের সুন্দর জীবনের জন্য কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই লাইমলাইট থেকে দূরে সরে থাকেন। আমরা তাদের সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। পশু কল্যাণে তাদের অংশগ্রহণ ও অবদানের জন্যই এ পুরস্কার।’
এদিকে পাও এর এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত জয়া। তার ভাষায়, ‘আমি পুরস্কৃত হচ্ছি, আনন্দটি মোটেও সেজন্য নয়। বরং আনন্দ হচ্ছে, অসাধারণ এই উদ্যোগটির জন্য। এটা প্রাণী-প্রেমীদের মনে উৎসাহ যোগাবে। প্রাণবিক মানুষ তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি নিজেও কোনোদিন কিছু পাওয়ার জন্য পশু-পাখিদের জন্য কাজ করিনি। যা করেছি, নিজের আনন্দ আর ভেতরের টান থেকে। ধন্যবাদ জানাই পও সংগঠন সংশ্লিষ্টদের। তাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাক।’
প্রসঙ্গত, জয়ার পোষ্য ক্লিউপেট্রাকে (সারমেয়) নিজের আপন বোন বলে প্রকাশ্যে দাবি করেন। এর বাইরে ১২ মাসই অসহায়-অসুস্থ পশু-পাখির জন্য কাজ করে থাকেন দুই বাংলার অন্যতম এই অভিনেত্রী। লকডাউনে তিনি রাস্তার কুকুর-বেড়ালদের জন্য নিজ হাতে খাবার তৈরি করে সেটি পরিবেশন করেছেন রাজপথে নেমে। কলম ধরেছেন রাজধানীর কাঁটাবনে পশু-পাখির মার্কেটের অব্যবস্থাপনা নিয়েও।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ