ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

রুপালি গিটার ফেলে হারিয়ে যাওয়ার ছয় বছর

প্রকাশনার সময়: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২০

বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালের এ দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার। ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু শেষ করলেন তার ‘হারানো বিকেলের গল্প’। আজ সেই আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ।

আউযুব বাচ্চুর জন্ম ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট, চট্টগ্রামে। গানের প্রতি তার ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। তার বাবা-মার সঙ্গীতপ্রেম তাকে প্রভাবিত করেছিল। স্কুলজীবন থেকেই তিনি গানের প্রতি আকৃষ্ট হন।

১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের সাথে তিনি সঙ্গীতজীবনের শুরু করেন। এ ব্যান্ডের মাধ্যমে তিনি সঙ্গীতাঙ্গনে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে, ১৯৯০-এর দশকে তিনি ‘এলআরবি’ তথা লিটল রিভার ব্যান্ড নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন, যা তার ক্যারিয়ারের একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

আউযুব বাচ্চুর প্রথম অ্যালবাম ‘মরমি গান’ ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামটি বাংলা সঙ্গীত জগতে বিপ্লবের সূচনা করে। এরপর একের পর এক সফল অ্যালবাম প্রকাশ করে তিনি সঙ্গীতপ্রেমীদের মন জয় করেন। ‘সাদামাটা’, ‘রক্তের নদী’, ‘অলওয়েজ’ প্রভৃতি অ্যালবামগুলো বাংলাদেশের সঙ্গীত ইতিহাসে এক অনন্য স্থানে অধিষ্ঠিত হয়ে আছে।

আউযুবের গানের বিষয়বস্তু সাধারণত প্রেম, জীবন, সমাজের নানা দিক ও মানুষের আবেগ নিয়ে। তার গায়কীতে এক বিশেষ আবেগ ও অনুভূতি থাকে, যা শ্রোতাদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে।

আউযুব বাচ্চুর অন্যতম বিশেষত্ব ছিল গিটার বাজানোর অসাধারণ দক্ষতা। গিটার বাজানোর কৌশল ও সুরের সাথে তার গায়কীর নিপুণ মেলবন্ধন শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। তিনি ছিলেন গিটারিস্টদের মধ্যে অন্যতম, যার সুরে অনেক তরুণ গিটারিস্ট অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

এছাড়া তার গানগুলোর কথা সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতিফলন। তার সৃষ্ট গানগুলোর মধ্যে প্রেম, বিচ্ছেদ, হতাশা এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা উঠে আসে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ