অভিনেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ওপার বাংলায় কাজের পাশাপাশি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে তার বন্ধুও বেশ ভালো। ঢাকায় এলে ফেরদৌসের বাড়িতে অতিথি হন ঋতুপর্ণা আর কলকাতায় গেলে ঋতুপর্ণার বাড়িতে ফেরদৌস।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করার পর থেকে কোথাও দেখা যায়নি ফেরদৌসকে। এমনকি সামাজিকমাধ্যমেও তিনি সরব নন। হঠাৎ গেল দুই দিন ধরে নেটদুনিয়ায় চর্চিত হচ্ছে, বন্ধু ঋতুপর্ণার কলকাতার বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছেন ফেরদৌস।
খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া বলে জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন এই নায়িকা। সেখান থেকেই অভিনেত্রীর কলকাতার বাড়িতে যে ফেরদৌস নেই, সেই খবরটি নিশ্চিত করেন ঋতুপর্ণা।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ফেরদৌস আমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন- এই খবরটা আমার কানেও এসেছে। সামাজিকমাধ্যমে আমাদের দুজনের এমন একটা ছবি দিয়ে খবরটা প্রচার করা হচ্ছে। ওই ছবিটা কিছুদিন আগে একটা শোতে তোলা। ফেরদৌস তো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, এটা তো সবাই জানেন।
পশ্চিমবঙ্গের এই নায়িকা আরও বলেন- শেষবারও যখন ঢাকায় গেলাম, ওর বাসায় গিয়েছি। সেও কলকাতায় এলে আমার বাসায় আসে। আমাদের নিয়মিত যাতায়াত আছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, এই ঘটনার পর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি।
ঋতুপর্ণারে ভাষ্য, হঠাৎ করে শুনলাম ফেরদৌস আমার ভারতের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে- এটা কেমন প্রোপাগান্ডা! এসব প্রোপাগান্ডা যারা ছড়াচ্ছে, তাদের মুখ তো আর বন্ধ করা যাবে না। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক। ফেরদৌস আমার একজন ভালো বন্ধু, কিন্তু এ কথাটা তো একদমই এমন নয় যে, সে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আমার বাড়িতে গেছে! আমি জানিও না ফেরদৌস এখন কোথায়, কী অবস্থায় আছে। শুধু এটুকুই চাই- ও যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক, সাবধানে যেন থাকে। কারণ, মানুষ হিসেবে ফেরদৌস খুব ভালো।
১৯৯৮ সালে কলকাতায় ‘হঠাৎ বৃষ্টি’সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ফেরদৌস। এই সিনেমার জন্য ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান তিনি। এরপর থেকে কলকাতার সিনেমায়ও নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। ২০০১ সালে ‘ওস্তাদ’সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধেন ঋতুপর্ণা-ফেরদৌস। কাজের সূত্রেই দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় এসেছিলেন ঋতুপর্ণা। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণাকে নৌকা উপহার দিয়ে তাকে রাজনীতিতে নামতে বলেছিলেন ফেরদৌস।
সেদিন ফেরদৌস বলেছিলেন, মানুষের সেবক হওয়ার মতো সব গুণ ঋতুপর্ণার মধ্যে আছে। আমি চাইবো তিনি যেন আমার দেখানো পথে হেঁটে রাজনীতিতে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে এই ক্ষমতাটুকু না দিতেন, তাহলে কিন্তু মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারতাম না। আমি চাই, ভারত সরকার এটা যেন ভালোভাবে দেখেন। তাহলে আমরা দুই বন্ধু মিলে দুই দেশের সম্পর্ক-মৈত্রী আরও দৃঢ় করতে পারবো।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ