ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরকীয়া আমি বুঝি না: মিথিলা

প্রকাশনার সময়: ২৭ জুন ২০২৪, ১১:৫৪

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ক্যারিয়ারে অভিনয় দিয়েই নয়, সেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড, গান আরও নানা গুণে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়েও প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ছড়িয়েছেন অভিনয়ের দ্যুতি। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কথা বলেছেন নানা বিষয় নিয়ে।

ওই সাক্ষাৎকারেই র‌্যাপিড ফায়ারে অংশ নিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে তাকে একটি করে শব্দে প্রশ্ন করা হয়, মিথিলারও কোনো কিছু না ভেবেই চটজলদি উত্তর দিতে হয়।

মিথিলাকে প্রশ্ন করা হয়, পরকীয়া? অভিনেত্রীর উত্তর- এটা কী? আমি বুঝি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসবে বিশ্বাস করি না।

পরে উঠে আসে সৃজিত মুখার্জি ও মোশাররফ করিমের কথা। মিথিলার ছোট্ট জবাব, সৃজিত বর আর মোশাররফ করিম একজন শক্তিশালী অভিনেতা।

এই র‌্যাপিড ফায়ারে অংশ নেওয়ার আগে সৃজিত ও তাহসান খানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে কথা বলেন মিথিলা। যেখানে অভিনেত্রী জানান, বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে তার যোগাযোগটা ছিল। নিয়মিত কথা হতো দুজনের মধ্যে। সেটা মেয়ে আয়রার কথা চিন্তা করেই।

মিথিলার কাছে প্রশ্ন করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের পরও সম্পর্ক রাখা কি স্বাভাবিক? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব নাও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবার আগে। এটাই উচিত।’

মিথিলা আরও বলেন, ‘আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। আমি আর তাহসান চৌদ্দ বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ। দুজন দুজনকে ভালো করে জানি। আয়রা আমাদের দুজনের কাছে সবার আগে।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর ২০০৬ সালে ঘর বেঁধেছিলেন তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ২০১৩ সালে সেই ঘর আলো করে আসে মেয়ে আয়রা। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন, বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর। দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই তারকা দম্পতি। পরে কলকাতার চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মিথিলা।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ