অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী জীবন সংগ্রাম নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। তার মধ্যে একটি- তার কাছে জাতীয় পুরস্কার নিতে যাওয়ার পর্যন্ত টাকা ছিল না।
এই গল্প ‘মৃগয়া’ পর্বের। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াতে থাকাকালীনই পরিচালক মৃণাল সেনের নজরে পড়েন মিঠুন। কলেজে দাঁড়িয়ে নাকি কয়েকজন সুন্দরী মহিলার সঙ্গে ফ্লার্ট করছিলেন তিনি। তখনই মৃণাল সেনের নজর কাড়েন। তার বছর দুয়েক পর ‘মৃগয়া’য় অভিনয়ের সুযোগ পান। প্রথম সিনেমাতেই সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার।
জাতীয় পুরস্কার নিতে দিল্লি যেতে হতো। কিন্তু মিঠুনের কাছে সেই টাকা ছিল না। সেই সময় নাকি মিঠুনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রেখা।
শোনা যায়, রেখার এক সিনেমার শুটিং দিল্লিতে হচ্ছিল। নিজের স্পটবয় সাজিয়ে তিনি মিঠুনকে দিল্লি নিয়ে যান। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরও খালি পেটে দিন কাটাতে হয়েছে মিঠুনকে। মুম্বাইয়ে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
এক সময় নাকি কোনও অভিনেত্রী মিঠুনের বিপরীতে কাজ করতে রাজি ছিলেন না। এই প্রথা ভাঙেন জিনাত আমান। তিনিই প্রথমবার মেইনস্ট্রিম সিনেমাতে মিঠুনের নায়িকা হতে একবাক্যে রাজি হয়ে যান।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ