‘কোকাকোলা’র বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কঠোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের তোপের মুখে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেতা শিমুল শর্মা। অন্যদিকে শরাফ আহমেদ জীবন নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তবুও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থামেনি। সামাজিক মাধ্যমে কোকাকোলার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের অভিনেতাদেরও বয়কটের ডাক উঠেছে। সেই বয়কট স্লোগানে ‘বিদ্ধ’ হচ্ছেন কাজল আরেফিন অমি। ব্যাচেলর পয়েন্ট খ্যাত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ‘সাইবার কমিউনিটি’ নামে একটি ফেসবুক পেজ।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। যেখানে অমির উদ্দেশে লেখা হয়, বিজ্ঞাপন নিয়ে আপনি বলছেন, এই বিষয়ে জানেন না। ওকে, সাময়িকভাবে মেনে নিলাম। জীবন বলল- পেশাগত দিক থেকে করেছে, ব্যক্তিগতভাবে সে কোকাকোলা বিষয়ে অবগত না। বিষয়টা এমন হলো- আমি গরুর মাংস খাই না, ঝোল খাই।
পুরো বিষয়টিকে সাজানো নাটক বলে দাবি করে সাইবার কমিউনিটি জানায়, ঈদে অমির নির্মিত যে নাটক ‘ফিমেল ৪’ আসছে, সেখানে যদি অভিনেতা জীবন, শিমুল প্রমুখকে দেখা যায় তাহলে কোনো প্ল্যাটফর্মে এই নাটক চলতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, সব জায়গা থেকে মুছে ফেলার ওপেন চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে সবাইকে নিয়ে ফেসবুক লাইভ করে সমাধান দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয় অমিকে।
কোনো আল্টিমেটাম পেয়েছেন কি না, বুধবার সকালে জানতে চাওয়া হয় অমির কাছে। জবাবে এই নির্মাতা বলেন, ‘যেই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, সেই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। তবুও আমাকে নিয়ে কেনো এই সমালোচনা হচ্ছে, বিষয়টি বোধগম্য নয়। আল্টিমেটাম, বয়কট- বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম আলোচনা হচ্ছে। এসব আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি কাজ নিয়েই ভাবছি।’
অমি মনে করেন, মানবিক মূল্যবোধের দিক থেকে কেউ তার ক্ষতি করতে পারেন না। নিমার্তা বলেন, ‘দেখুন, ফিমেল-৪ নাটক নিয়ে যেই আলোচনা হচ্ছে সেখানে কেবল দুইজন অভিনেতাই সংশ্লিষ্ট নয়। এখানে পুরো ইউনিট জড়িত। আপনি নাটকের ক্ষতি করে তাদের পেটেও লাথি দিতে পারে না। এই কাজটা আমার খুব যত্ন করে বানানো। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে নাটকের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
জীবন ও শিমুলকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসবেন কি না এই প্রশ্নের জবাবে অমি বলেন, তাদেরকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসার এখতিয়ার আমি রাখি না। আমি তাদের পরিচালক, অভিভাবক নই। আমির খান কোনো ভুল করলে সেটার জন্য অবশ্যই দর্শকরা রাজকুমার হিরানীকে দায়ী করবেন না- যোগ করেন নির্মাতা।
দেশের আইনের প্রতি সম্মান রয়েছে কাজল আরেফিন অমির। তিনি বলেন, ‘যারা বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাদের জন্য অবশ্যই দেশে আইন রয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট রয়েছে। কেউ অনৈতিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারেন না। বিজ্ঞাপন নিয়ে যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে আমার কোনো দায় নেই, তবুও একদল মানুষ অমির ক্ষতি করার চেষ্টা করেই যাচ্ছে। বিষয়গুলো অবশ্যই সাইবার ক্রাইম ইউনিট দেখবে।’
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে যখন গোটা বিশ্ব উত্তাল, তখন বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছে। বিশেষ করে কোমলপানীয় ব্র্যান্ড ‘কোকাকোলা’র বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ শ্রেণি পেশার মানুষ।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ