ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘তার ফ্যাশন আমরা অনুসরণ করতাম’

প্রকাশনার সময়: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:১২

বাংলা চলচ্চিত্রের স্টাইলিশ নায়কদের আইকন জাফর ইকবাল। তবে যতটা না স্টাইলিশ ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন অভিমানী ও আবেগপ্রবণ। বোহেমিয়ানও ছিলেন তিনি। ঢাকার ছবির দর্শকদের কাছে জাফর ইকবাল একজন ‘চিরসবুজ নায়ক’। শহুরে রোমান্টিক ও রাগী তরুণের ভূমিকায় দারুণ মানালেও সব ধরনের চরিত্রেই এই অভিনেতার ছিল সহজ বিচরণ। অভিনয়ের পাশাপাশি বাস্তব জীবনে চমৎকার গান গাইতে পারা এ অভিনেতা বেশকিছু ছবিতে গায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল। গতকাল ছিল এ নায়কের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৭১তম জন্মদিন পালন করতেন তিনি।

জাফর ইকবাল নায়ক হিসেবে পরিচিতি পেলেও চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয়েছিল একজন প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে। বাড়িতে গানবাজনার রেওয়াজ ছিল বলেই তার সংগীতশিল্পী হয়ে ওঠা। তার বোন শাহানাজ রহমতুল্লাহ একজন সুপরিচিত কণ্ঠশিল্পী। বড় ভাই আনোয়ার পারভেজও নামকরা শিল্পী। জাফর ইকবাল প্রথমে গায়ক হিসেবেই পরিচিতি পান। ছিল নিজের ব্যান্ডদল। যে ব্যান্ডদল ১৯৬৬ সালে গড়ে তুলেছিলেন। সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন জাফর ইকবাল। বন্ধুর জন্মদিনে স্মৃতিচারণ করে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘জাফর ইকবাল বয়সে আমার বড় হলেও বন্ধুর মতো। একজন ফ্যাশন আইকন ছিলেন তিনি। তার ফ্যাশন আমরা অনুসরণ করতাম সেই সময়ে। রুচিবোধ থেকে শুরু করে তার ব্যক্তিত্ব ছিল নজরকাড়া। প্রেমিক নামের একটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন জাফর ভাই। সেখানে আমাকে অভিনয় করতে বলেছিলেন। সারারাত ধরে তার ধানমন্ডির বাসায় বুঝিয়েছিলেন অভিনয় করার বিষয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত অভিনয় করা হয়নি। মেয়েরা তাকে অনেক পছন্দ করতো। খুব সচেতন হয়ে ড্রেসআপ করতেন। তার লিপে আমার কণ্ঠের অসংখ্য গান ব্যবহার হয়েছে।’

নায়ক হিসেবে জাফর ইকবলের সিনেমায় অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে। প্রথম সিনেমাটিতে তার নায়িকা ছিলেন কবরী। সিনেমার নাম ‘আপন পর’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন খান আতাউর রহমান। এই ছবির ‘যা রে যাবি যদি যা’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।

সব মিলিয়ে ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন জাফর ইকবাল। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে ‘অবুঝ হৃদয়’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘অবদান’, ‘প্রেমিক’, ‘সাধারণ মেয়ে’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘দিনের পর দিন’, ‘বেদ্বীন’, ‘অংশীদার’, ‘মেঘ বিজলী বাদল’, ‘নয়নের আলো’, ‘সাত রাজার ধন’, ‘আশীর্বাদ’, ‘অপমান’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘গৃহলক্ষ্মী’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘প্রেমিক’, ‘নবাব’, ‘বন্ধু আমার’ উল্লেখযোগ্য।

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ