মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতকে আইনি নোটিশ দেন আরেক নায়িকা তমা মির্জা। মিষ্টি জান্নাতও হাঁটেন একই পথে। মানহানির অভিযোগ এনে তিনিও তমা মির্জার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠান।
সোমবার (২৭ মে) তমার বিরুদ্ধে নোটিশটি ইস্যু করা হয়। এ নিয়ে যখন উত্তাল নেট দুনিয়া, তখন বিষয়টি নজরে আসে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সভাপতি মিশা সওদাগরের সভাপতিত্বে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে তমা-মিষ্টিকে নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে দুই নায়িকার দ্বন্দ্বের মিটমাট করা হয়।
এ সময় শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব বলেন, তমা-মিষ্টির মধ্যে ভিন্ন মতের কারণে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এই মনোমালিন্য দূর করতে তারা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির শরণাপন্ন হন। পরে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের উদ্যোগে ও কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা হয়। এই বিষয়ে যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকব।
মিশা সওদাগর বলেন, যে বিষয়টি হয়েছে ঠিক হয়নি। দুজনে ভুল বুঝতে পেরেছে। শিল্পী সমিতির মাধ্যমে পুরো বিষয়ের অবসান হয়েছে।
তমা মির্জা বলেন, দিনশেষে আমরা শিল্পী। আমাদের অভিভাবক শিল্পী সমিতি। তাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সুন্দর সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ শিল্পী সমিতিকে।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বাবা-মায়ের মতো অভিভাবক শিল্পী সমিতি। সমিতি আমাদের দ্বিতীয় পরিবার। তাদের উপস্থিতিতে সুন্দর সমাধান হয়েছে। তমা আপু আমার খুব কাছের। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছে। মূলত ইউটিউবারদের কারণে এই ভুল বোঝাবুঝি। আশা করবো, ভবিষ্যতে ইউটিউবররা আর উদ্ভট ক্যাপশন দেবেন না। অনুরোধ রইল। অভিভাবকদের কথা মতো পুরো বিষয়ের দ্বন্দ্বের শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কিছু হবে না যাতে শিল্পীরা ছোট হয়। সমিতিকে ধন্যবাদ এত সুন্দর সমাধানের জন্য।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ