চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দুই বছর আগে যে রকম কাদা ছোড়াছুড়ির ঘটনা হয়েছিল, তা চলচ্চিত্র পরিবারের কাছে যেমন অজনা নয়, তেমনি সিনেমাপ্রেমীরাও ভুলে যাননি নিশ্চয়ই। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে গত নির্বাচনের মতো এবারও একই রকম ঘটনা ঘটছে এই সমিতিকে ঘিরে।
গত ১৯ এপ্রিল অনেকটা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এবার সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত হয়েছেন। সবার আগে নতুন কমিটিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডিপজলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তার কাছাকাছি ভোট পাওয়ায় মিডিয়ার কাছে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নিপুণ। নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। অথচ বর্তমানে উল্টো পথে হাঁটছেন নিপুণ। তার দাবি, শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নতুন কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এই অভিনেত্রী। তার রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আপাতত ডিপজল এই পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে ফুলের মালা পরানোর ২৫ দিন পর নিপুণের আদালতে দৌড়ঝাঁপ ভালো চোখে দেখছেন না সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পীরা। চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র পাড়ায় এ নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে। নিপুণের কাণ্ডে বৈঠকের ডাক দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন।
বুধবার (২২ মে) বিকেল ৩টায় এফডিসিতে ১৮ সংগঠনের সঙ্গে শিল্পী সমিতির গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানা গেছে। বৈঠকে স্টার সিনেপ্লেক্সের অনিয়মসহ নিপুণের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে বলে শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এদিন নিপুণকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আসবে! তবে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এছাড়াও নিপুণের করা রিট এবং মিশা-ডিপজলকে অশিক্ষিত বলে কটাক্ষ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে এই নায়িকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করবেন শিল্পীরা। এতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে নিপুণ সমর্থিত ১০৩ জন শিল্পীদেরও। সম্প্রতি তারা মিশা-ডিপজল প্যানেলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আজ দুপুর ১টা থেকে তারা এফডিসিতে অবস্থান নিয়ে নিপুণের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন বলে জানা গেছে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ