ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী পরীমণি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। যদিও সে সংসার বেশিদিন টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলেকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবনযাপন করছেন এ অভিনেত্রী। সব ব্যস্ততাও তাকে ঘিরে।
এবার তার ঘরে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তান। ছয় দিনের ওই শিশুকে দত্তক নিয়েছেন নায়িকা। আগামীকাল রোববার (১২ মে) কন্যার জন্য বিশেষ এক আয়োজন করতে যাচ্ছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন পরীমণি। দ্বিতীয় সন্তানের আকিকার আয়োজন করবেন। মেয়ের নাম রেখেছেন সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম।
এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, এক অন্যরকম অনুভূতি। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! আগামী ১২ মে হবে সাফিরা সুলতানা প্রিয়মের আকিকা। মা হিসেবে যতটুকু সুন্দর করা যায়, সেভাবেই এটা আমি করব।
যদিও মেয়েকে এখনও প্রকাশ্যে আনেননি এই অভিনেত্রী। ভক্তদের কাছে সেজন্য একটু সময় চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, খুব শিগগিরই মেয়েকে নিয়ে প্রকাশ্যে আসবেন।
এর আগে পরীমণি বলেছেন, আমার মেয়ে এলো ঘরে। যার নাম রাখা হয়েছে সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ৬ দিন হলো ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে। আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হলো আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন।
পরী বলেন, জীবনে কোনোদিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন, তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এলো। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো...আর কিছু দিন যাক।
এই নায়িকা আরও জানালেন, ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে।
সমাজকে আরও একবার ভুল প্রমাণ করতে চান পরীমণি। দেখাতে চান, জন্ম না দিলেও সেই সন্তানকে সঠিকভাবে লালন করে বড় করে তোলা যায়। পরী বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ