৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টাইন নারী আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ। গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) বুয়েনস আয়ার্সে প্রদেশের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরা সুন্দরীর মুকুট জিতেছেন তিনি।
মারিসা রদ্রিগেজ বিশ্বের প্রথম নারী যিনি ৬০ বছর বয়সে কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন। বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি। আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ শুধু বিউটি কুইন নন, পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক এবং আইনজীবী।
১৯৫২ সালে তৈরি হওয়া নিয়মানুযায়ী, যে প্রতিযোগীরা বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তাদের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ১৮ বছর, সর্বোচ্চ ২৮ বছর। বয়সের সীমা ২৮ বছর পেরিয়ে গেলে তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার অধিকার হারাবেন।
শুধু বয়স নয়। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য তৈরি হয়েছিল আরও নিয়মকানুন। মহিলা প্রতিযোগীদের অবিবাহিতা হতে হবে। এমনকি, তাদের কোনও সন্তান থাকলেও তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
পরে অবশ্য সেই নিয়মকানুনে পরিবর্তন আনা হয়। সর্বনিম্ন বয়সে কোনও পরিবর্তন করা না হলেও জানানো হয়, সর্বোচ্চ ৭৩ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলা প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে তাদের সন্তান থাকা চলবে না এবং অবিবাহিত হতে হবে। সেই সুযোগে মারিসা রদ্রিগেজের আর্জেন্টিনার সেরা সুন্দরী হওয়ার প্রস্তুতি নেন।
শুধু আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ নয়, এ বছর ইউনিভার্স প্রতিযোগী ৪৭ বছর বয়সী হেইদি ক্রুজকে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তিনি চলতি বছর ডমিনিকান রিপাবলিকের হয়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
আলেজ়ান্দ্রা মুকুট জিতে বলেছেন, ‘সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় এই নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমরা একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছি যেখানে নারীদের শারীরিক সৌন্দর্য নয়, মূল্যবোধ দিয়ে বিচার করা হয়।’
স্থানীয় একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আলেজ়ান্দ্রা জানান, স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর সাংবাদিকতা নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। একটি হাসপাতালের আইনি পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ