বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ১৬ ভোট কম পেয়ে মিশা-ডিপজলের কাছে হেরে যান তিনি। এদিকে নির্বাচনে নিপুণ হেরে যাওয়ায় ভীষণ আনন্দিত চিত্রনায়িকা মুনমুন।
গতবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাকাঙ্খিত এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন মুনমুন। নির্বাচনের দিন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খানের সঙ্গে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে তোপের মুখে পড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো জায়েদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মুনমুনের বিরুদ্ধে।
সেবার জায়েদের প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ অভিযোগ করেন, জায়েদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে ভরেছেন মুনমুন। যা নিয়ে সেসময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
যদিও মুনমুন দাবি করেন- টাকা নয়, নির্বাচনের দিন জায়েদ খানের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় নিজের ব্যবহৃত কালো মাস্কটি রেখেছিলেন তার ব্যাগে। তবুও সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পাননি। টাকা নেওয়ার অভিযোগে অসম্মানিত হতে হয়েছে তাকে।
মূলত সেই ক্ষোভেই চলতি বছরের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দেননি মুনমুন। তিনি নিজে ভোট না দিলেও, নিপুণদের হারে বেশ খুশি হয়েছেন এই নায়িকা।
এ প্রসঙ্গে মুনমুন বলেন- আমি যে লজ্জা পেয়েছিলাম, সেই লজ্জায় এবার নির্বাচনে ভোট দিতে যাইনি। আমাকে শুধু অপদস্থ নয়, তাদের (নিপুণ) লোক দিয়ে আমার নামে ভিডিও বানিয়েও অনেকভাবে অপদস্থ করেছিল। সেজন্য দুই বছর ধরে এফডিসিতে পা রাখছি না।
অভিনেত্রী আরও বলেন, নির্বাচন হচ্ছে শিল্পীদের মিলনমেলা। দুই বছর পরপর প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয়। আনন্দ-আড্ডায় কাটে দিনটি। কিন্তু গত দুই বছর যে নোংরামি হয়েছে, এবার তার জবাব দিয়েছেন সাধারণ শিল্পীরা।
মুনমুন বলেন, এবার যোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছে শিল্পী সমিতি। মিশা-ডিপজল ভাইসহ তাদের কমিটির জয়ে আমি খুবই আনন্দিত। ঈদের চেয়েও বেশি খুশি লাগছে।
১৯৯৬ সালে ‘মৌমাছি’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন মুনমুন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ ‘রাগী’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ