ঈদের আর বাকি ৭ দিন। ঈদকে ঘিরে বেশকিছু ছবি মুক্তির ঘোষণা রমজানের শুরু থেকে শোনা গেছে। কিন্তু এ সময়ে এসে সংখ্যার দিক দিয়ে সেটা বেশ অবাক করার মতোই বটে। কারণ সারা বছর অনেক হল বন্ধ থাকলেও ঈদে বেশ কিছু হল খোলে।
তবে সব মিলিয়ে এ সময় হলের সংখ্যা ১৩০ থেকে ১৪০টির বেশি নয়। সেদিক থেকে এত কম সংখ্যক হলে ১১টি ছবি মুক্তি পেলে তার ফলাফল কী দাঁড়াবে- সেটা অনুমেয়! কারণ শোনা যাচ্ছে, শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ একাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে শতাধিক হলে। আর সেটা যদি হয় তবে বাকি সিনেমাগুলোর ভাগ্যে কী আছে- সেটা বুঝতে বেশি বেগ পেতে হয় না। তবে ১১ সিনেমার এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। আর এর মধ্যে কোনো সিনেমার পিছপা হওয়ারও তেমন সুযোগ নেই। দেশের সিনেমা ঈদকেন্দ্রিক হয়ে পড়ার ফলেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
ঈদের সব থেকে বড় সিনেমা এবার শাকিব খানের ‘রাজকুমার’। ছবিটি নেয়ার জন্য অগ্রিম বুকিং দিয়ে রেখেছেন হল কর্তৃপক্ষ। হিমেল আশরাফ পরিচালিত ছবিটি এবার ঈদে সর্বাধিক ব্যবসা করবে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরাও। এর পাশাপাশি সরকারি অনুদানের ‘দেয়ালের দেশ’, ‘ওমর’ ও ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ। তিনটি ছবিতে তার নায়িকা যথাক্রমে শবনম বুবলী, দর্শনা বণিক ও মন্দিরা চক্রবর্তী। এ তিন ছবির ট্রেলারেই বেশ চমকের দেখাও মিলেছে। বিশেষ করে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’র প্রতি আলাদা আগ্রহ রয়েছে দর্শকদের।
অন্যদিকে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভৌতিক সিনেমা ‘জ্বীন টু: মোনা’ এবং ‘পটু’ সিনেমা দুটি তারকাবহুল না হলেও বেশ হাইপ তুলেছে। ওমর সানী, রোশান, শ্যামল মাওলাদের নিয়ে করা এমডি ইকবালের ভৌতিক ছবি ‘ডেডবডি’ও রয়েছে ঈদে মুক্তির তালিকায়। ছবিতে ওমর সানীর লুক বেশ মনোযোগ কেড়েছে দর্শকদের। এদিকে রোজার মাঝামাঝি এসে ‘গ্রীনকার্ড’ সিনেমার প্রমোশনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কাজী মারুফ। দীর্ঘ সময় পর তার অভিনীত এ সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ঈদে।
অন্যদিকে গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ও শেষ দিকে যোগ হয়েছে ঈদে মুক্তির তালিকায়। একইভাবে যোগ হয়েছে পূজা চেরী ও আদর আজাদ অভিনীত ‘লিপস্টিক’ সিনেমাও। এর বাইরে মুক্তি পাচ্ছে জায়েদ খান অভিনীত ‘সোনার চর’ ও ভিন্নধর্মী গল্পের ছবি ‘মেঘকন্যা’। মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ঈদে আমরা ‘রাজকুমার’ চালাবো। এর বাইরেও কিছু ভালো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তবে আমি সব সময় বলে আসছি ঈদের বাইরে ভালো ছবি মুক্তি দিতে হবে। না হলে শুধু ঈদে এতসব ছবি মুক্তি দিয়ে আসলে সার্বিকভাবে ভালো ফলাফল আসবে না। সিনেমা কিংবা হল কর্তৃপক্ষের উন্নতিটাও হবে কেবল সাময়িক। বরং ঈদের পর কিংবা অন্য সময়েও হল চাঙ্গা করতে হলে ভালো সিনেমা দরকার।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ