অমিতাভ রেজার একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে ‘হু টোল্ড ইউ, ওয়েল ইয়োর ওন মেশিন’ সংলাপ বলার পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শিশুশিল্পী শরিফুল ইসলাম। এর পর থেকেই ছোট পর্দা, বড় পর্দা এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে সমানতালে কাজ করছেন তিনি। সব মিলেয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরিফুলের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
শনিবার (২৩ মার্চ) সোশ্যালে বিভিন্ন গ্রুপে শরিফুলের বিয়ের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে এ অভিনেতাকে কনের সঙ্গে কাজী অফিসে দেখা যায়। যা দেখে এটা স্পষ্ট, পাশে থাকা কনেকে বিয়ে করেছেন তিনি।
এর পরেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই ধরে নিয়েছেন, হয়তো বিয়ের পিড়িতে বসেছেন শরিফুল। কেউ মন্তব্য করেছেন এটি নাটকের দৃশ্য। কিন্তু স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন অভিনেতা। তিনি জানান, ভাইরাল ছবিটি অনেক আগের 'বিয়ান আমার ক্রাশ' নামের নাটকের শুটিংয়ের। আমিও দেখছি কয়েকদিন যাবৎ ছবিটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ভাইরাল হয়েছে।
শরিফুল বলেন, ‘আমি আমার দর্শকদের বলতে চাই, আমি এখনও অনেক ছোট। আমি কাজ নিয়ে আছি। আর বিয়ে, সেতো অনেক পরের কথা।’
গাজীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান শরিফুল ইসলাম। হোতাপাড়ার খতিব খামারবাড়ি এলাকায় চা-বিস্কুটের দোকান ছিল তার বাবার। সেখানেই বসে থাকত শরিফুল। কেউ চা-বিস্কুট চাইলে শরিফুল হাজির। বাবার দোকানে ও দোকানের আশপাশে প্রায়ই শুটিং হতো। কখনো শুটিংয়ে আসা শিল্পী, কলাকুশলীদের চা-বিস্কুট পৌঁছে দিত শরিফুল আর লুকিয়ে দেখত শুটিং। মনে মনে ভাবত, অভিনয় বড়লোকের ব্যাপার-স্যাপার।
এভাবেই একদিন চায়ের দোকানের পাশে ছোট্ট শরিফুলকে দেখে চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানের পছন্দ হয়। ছেলেটির বাবাকে খুঁজতে থাকেন। পরে শরিফুলের বাবার সঙ্গে কথা বলে তাকে অভিনয়ের জন্য নিয়ে যান।
গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নাটকে প্রথম অভিনয় করেন শরিফুল। এরপর কোনো দৃশ্যে ছোটদের চরিত্রে প্রয়োজন হলে ডাক পড়তো তার। তবে পরিচিতি তখনও হয়নি। এরমধ্যে অমিতাভ রেজার একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে ‘হু টোল্ড ইউ, অয়েল ইওর ওন মেশিন’ সংলাপ বলার মাধ্যমে সবমহলে পরিচিত লাভ করেন শরিফুল।নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ