রোজার দিনগুলোতে বরাবরের মত পাড়ার হোটেল রেস্তোরাঁগুলো যেন অনেকাংশ বন্ধই থাকে। এমন সময় হোটেলগুলোতে দিনের বেলায় মানুষ তেমন খেতে যায়না বললেই চলে। আর এতেই অসহায় হয়ে পড়ে স্ট্রে অ্যানিম্যাল বা রাস্তায় থাকা অবলা প্রাণিগুলো। যেহেতু রমজানে মানুষ দিনের বেলা খাবার খায় না, ফলে কুকুরদেরও খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
আর এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে একটি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি কার্ডসহ পোস্ট শেয়ার করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। যদিও সচেতনতামূলক এই পোস্টটি মূলত বিনোদনমূলক ফেসবুক পেজ ‘ইয়ার্কি’ তে আগে প্রকাশ করা হয়। তার দু'ঘণ্টা পরই মূল পোস্টের ক্যাপশন ও ছবি যোগ করে নিজের অফিসিয়াল পেজ থেকে আপলোড দেন জয়া।
এই বিষয়টি নিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। ওই পেজে দেওয়া ক্যাপশনের সাথে মিল রেখে হুবহু জয়া লিখেন, ‘আমাদের দেওয়া কেক, বিস্কুটেই রাস্তার বেশিরভাগ কুকুরের পেট ভরে। কিন্তু রমজান মাসে সেটাও তাদের কপালে জোটে না। তারা তো আর আমাদের মতো রোজা রাখে না। তাই সামান্য খাবারের জন্য সারাদিন এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়। চলুন রমজানে আমরা রাস্তার এই অসহায় প্রাণীদের কথা একটু চিন্তা করি। আমাদের ঘরের বাইরে তাদের জন্য কিছু খাবার রেখে দেই।’
অনেক দিন ধরেই প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করছেন জয়া আহসান। নিজের বাসাতেও তিনি একাধিক পোষ্য পালন করেন। গেল কোভিড মহামারির সময়ে তিনি নিজে রান্না করে ঢাকার রাস্তায় থাকা অসহায় কুকুরদের খাইয়েছেন।
কিছু দিন আগে হাতি দিয়ে সার্কাস, হাতির পিঠে ভ্রমণ, বিয়ে বাড়িতে শোভাবর্ধনসহ বাণিজ্যিক ও বিনোদন কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধের জন্য হাইকোর্টে রিট করেছিলেন জয়া আহসান। এরপর সেটা আমলে নেন আদালত। এসব কাজে ব্যক্তিগত লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন আদালত। এ রিটে জয়ার সঙ্গে ছিল প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ