দুঃখ ভরা মন নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে শিল্পী সমিতি সভাপতি পদ থেকে বিদায় নেন শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সেইসঙ্গে জানিয়ে গেছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নাকি টাকা লেনদেন হয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক দাবি তোলেন কাঞ্চন। তার ভাষ্য, শিল্পী সমিতির ভোটের সময় ভোটারদের টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে টাকা নেন ভোটাররা।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতিতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার আছেন, যাদের আমিও চিনি না, অন্য অনেকেও চেনেন না। অথচ তারা শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য। ভোট প্রদান করেন, নির্বাচনও করেন। আর এ কারণে সিনিয়র শিল্পী ও প্রকৃত শিল্পীরাও সমিতিতে আসতে চান না। আসলে একবার যদি পূর্ণ সদস্য দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাদ দেওয়াটা মুশকিল।’
এর আগে ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সেক্রেটারি নিপুণের সঙ্গে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। আলোচনায় পাশাপাশি শুরু থেকে এই কমিটিকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কমিটির নির্বাচিত ২১ জনকে কোনো মিটিংয়ে এক করতে পারেননি তারা।
অনেক সদস্যের জন্য নিজের মতো করে কাজ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, তারা থাকুন। সহযোগী হয়েই হোক। ভোটাধিকার না থাকুক। শুধু ভোটাধিকার থাকার কারণে নির্বাচনের সময়ে এরা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে তারা টাকা নেন।’
এ সংখ্যাটা কত জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আসলে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে পারব না। আমি দূরে থাকতে চাই। আমি যখন এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম, তখন এসব থেকে আমাকে অন্যরা দূরে রাখা শুরু করেন। আমিও এসব নিয়ে তাই আর মাথা ঘামাতে চাই না।’
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ