সম্প্রতি বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। বর্তমানে ছেলে ফারিশকে নিয়েই সময় কাটাচ্ছেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর একাকিত্বের কথা বলেছেন তিনি। এবার সামাজিক মাধ্যমে নতুন বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছেন মাহি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে ১১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন নিজের ফেসবুক পেজে।
ভিডিওর একাংশে মাহিয়া মাহি বলেছেন, ‘আমি শিল্পী মানুষ। আমার জীবনে প্রেম আছে বলে প্রেমের দুলাইন লিখেছি, দুঃখ আছে বলে দুঃখের দুলাইন লিখেছি, এমনটি নয়। শিল্পী মানুষ, একেক সময় একেক ভাবনা মনে আসে। একটা গান শুনলে গানের ভেতর ঢুকে যাই। সিনেমার কোনো দুঃখের সংলাপ শুনলে দুঃখের মধ্যে ঢুকে যাই। তখন ফেসবুকে ওই সংলাপের, ওই গানের দুলাইন করে লিখি। এগুলো তো জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। আমি এমন কিছু ফেসবুকে লিখিনি যে নিউজ হতে পারে। এসব নিয়ে কেমন কেমন হেডলাইনের নিউজ হয়, খারাপ লাগে!’
আরেক অংশে তিনি বলেছেন, ‘আমি স্ট্যাটাসে “আস্থা” শব্দটি ব্যবহার করেছি, এটি লেখার জন্য লেখা। এটি সত্যি কোনো আস্থার জায়গা খুঁজছি এমনটি নয়। আমি সুন্দর করে দুটি লাইন লিখেছি। ভালো লাগার কারণে এটি লেখা। আর ফেসবুক তো মনের ভাব প্রকাশ করারই জায়গা। কিন্তু আমি যে ভাবনা থেকে লিখি, খবরে প্রকাশ হয় একটু অন্যভাবে, কষ্ট দেয় আমাকে।’
এই অভিনেত্রীর কথা, সাংবাদিক ভাইয়েরা এমনভাবে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, মনে হচ্ছে যেন আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, আমার কাউকে লাগবে। কিন্তু না, আমার ফারিশ আছে। তাই আপাতত আমার কাউকে লাগবে না। তবে আমরা মানুষ, দিন শেষে একা একা লাগে। এ জন্য কিছু কিছু জিনিস ফেসবুকে লিখি। তার মানে এই নয় যে আমি কাউকে খুঁজছি।’
ভিডিওর অন্য একাংশে মাহির বক্তব্য, ‘মিডিয়াতে আমার কোনো বন্ধু নেই। আর মিডিয়ার কোনো আড্ডাতে, পার্টিতে আমি যাই না। সময় কাটাই না। আমাকে দেখা যায় না। আমি কেন মিডিয়ার কোনো অনুষ্ঠানে যাই না, অংশ নিই না—এ জন্য আমাকে মিডিয়ার মানুষের কাছ থেকে কম কথা শুনতে হয়নি। আমি অবসরে সময় কাটাই আমার ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে। আমার মন খারাপ থাকলে তাদের সঙ্গেই আড্ডা দিই, ঘুরতে যাই। মন ভালো থাকলে তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি সময়টা। আমি যখন মাহি হয়ে উঠিনি, তখন থেকেই তারা আমার সঙ্গে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাকিব সরকারকে খুব ভালোবেসেছিলাম। এমন ভালোবাসা দিয়েছিলাম তাঁকে, সিনেমা থেকে সরে গিয়েছি। কারণ, রাকিব এটি পছন্দ করেননি। মুখে না বললেও বুঝেছি। আমাকে গুলি করে মারতে চাইলেও রাকিব সম্পর্কে বাজে কথা বলতে পারব না। আমি তাকে সম্মান করি। সে আমার ছেলের বাবা।’
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ