বেশ জল্পনা-কল্পনা শেষে অবশেষে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভারতের যাদবপুরের সংসদ সদস্য ও টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বড় পর্দার এই তারকার দাবি, রাজনীতি তার জন্য নয়।
মূলত সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিতে এবং আগামী নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না - তাই এ জায়গা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিমি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মিমি চক্রবর্তী। এ বৈঠকের দুই দিন আগে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠান। তবে এ ইস্তফাপত্র শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছেই দেওয়া হয়েছে। যদিও তা এখনও গ্রহণ করেননি মূখ্যমন্ত্রী।
এর আগে গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগ করেছেন নিজের এলাকার দুইটি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংসদের দুইটি পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
বৈঠক শেষে মিমি সংবাদমাধ্য়মকে জানান, তিনি শুধু অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করছেন; রাজনীতি তার জন্য নয়। তিনি বলেন, 'আমি দলের কথা বলছি না। আজ পর্যন্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি; নিজের দলের বিরুদ্ধে কী বলব। কিন্তু এটাই বলব পরিষেবা দিতে গিয়ে যে বাধাগুলি পেয়েছি, বাধাগুলির কথা দিদিকে জানিয়েছি। দিদি স্টেপ নেবেন। বাকিটা সবই দিদির উপর। আমি হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি আমি সৎ। আপনারা, মিডিয়া বাকিটা আপনারা দেখতে পারেন।'
এরপর মিমি ঘোষণা দেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থী হতে চান না তিনি। আইনিভাবে রাজনীতি থেকে সরে যেতে যা করার সেটা আমি করেছি। দলের সদস্যপদ এখনও আছে। আর প্রার্থী হতে চাই না।
মিমি এদিন জানিয়েছেন, রাজনীতি তার জন্য নয়। রাজনীতিতে তিনি একজন অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করছেন বলে দাবি করেন। বলেন, 'আমার সমান দায়িত্ব রয়েছে। যদি আপনি রাজনীতিতে যোগ দেন, আপনি কাজ করুন অথবা না করুন আপনাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে।'
মিমি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছি। আমি একথাও বলতে চাই ২০২২ সালেও আমি এম পদ থেকে ইস্তফার ব্যাপারে তাকে বলেছিলাম। সেই সময় তিনি মানতে চাননি।'
অনেকে বলছেন মিমির এই পদক্ষেপকে দেব এর অনুকরণ বলে মনে করছেন। কারণ, দেবও এই ইস্তফার পথে হেঁটেছিলেন। আবার অনেকের মতে মিমি দেবকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মিমিকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেন।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ