রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সেই সমালোচনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে একুশে মেলায় তাদের বই প্রকাশের পর। গত ৯ ফেব্রুয়ারি কিছু মানুষের তোপের মুখে পড়ে মেলা ছাড়তে বাধ্য হয় এই ‘অসম’ জুটি। এরপরও বইমেলায় যাওয়া বন্ধ রাখবেন না বলে জানান তারা। আর এ বিষয়েই এবার খই ফুটলো আরেক আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খানের মুখে।
সমালোচিত এই দম্পতিকে নিয়ে একরকম সাফাই গাইলেন নায়ক জায়েদ খান। এতোসব একের পর এক ঘটনার পরও শুধুমাত্র মুশতাক-তিশাকে দোষারোপ করার কিছু দেখছেন না এই চিত্রনায়ক।
জায়েদ খান বলেন, ‘শুধু একতরফা মুশতাক-তিশা দম্পতিকে দোষ দিলে চলবে না। যারা তাদের ব্যবহার করে বই প্রকাশ করেছে, তারাও দোষী।’
প্রকাশনীকে দোষ দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে জানান, ‘দুইটা প্রকাশনী আমাকে খুব কনভিন্স করার চেষ্টা করেছিল, আমাকে নিয়ে বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি।’
নায়কের ভাষায়, ‘আমি অভিনয় করি। একজন অভিনয় শিল্পী আমি, আমার কাজ অভিনয় করা। অনেকভাবে তারা চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি আমাকে রাজি করাতে। আমার মনে হয়, এই দম্পতির বেলাতেও এমনটা হয়েছে।’
ভাইরাল হলেই কিছু প্রকাশনী তাদের লেখক বানানোর চেষ্টা করে জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘একটা প্রকাশনী থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে, আপনার বই বের করতে চাই। আপনি বলবেন, আমরাই লিখব। তখন আমার রাগ লেগেছে। এ কেমন লেখক? আমি ছিলাম আর্টসের ছাত্র, মুখস্থ করেছি আর পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আমাকে তোমরা হুমায়ূন আহমেদ বানাতে চাও? নাকি আমার পরিচিতি কাজে লাগাতে চাও?’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অদ্ভুত এক ভালোলাগা নিয়ে বই মেলায় যেতাম। বই কিনতাম। লেখকদের সঙ্গে দেখা হলে কী যে ভালো লাগতো। তাদের অটোগ্রাফ নিতাম। অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করত। আর এখন যারা ভাইরাল তাদের বই বের হয়। বিষয়গুলো থেকে প্রজন্ম কী শিখবে?’
তার মতে, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এইসব মৌসুমী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তারা ব্যবসাটাকেই বড় করে দেখে। অন্যকিছু ভাবে না।
চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি ২০০৮ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের দাবাং হিসেবেও পরিচিত।
নয়াশতাব্দী/ডিএ/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ