ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হিমুর মৃত্যুর পেছনের কারণ জানাল র‌্যাব

প্রকাশনার সময়: ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৩৪

অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশ ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আত্মহত্যার পেছনে খালাতোর বোনের সাবেক স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো থেকে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হওয়ার বিষয় উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, ২০১৪ সালে হুমায়রা হিমুর খালাতো বোনের সঙ্গে গ্রেফতারকৃত জিয়াউদ্দিনের বিয়ে হয় এবং কিছুদিনের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা জনিত কারণে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। পারিবারিক আত্মীয়ের সম্পর্কের জের ধরে গ্রেফতারকৃতের সঙ্গে হুমায়রা হিমুর পরিচয় হয়। খালাতো বোনের সঙ্গে জিয়াউদ্দিনের বিবাহবিচ্ছেদ হলেও হুমায়রা হিমুর সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানায় জিয়াউদ্দিন।

পরবর্তীতে জিয়াউদ্দিন অন্য জায়গায় বিয়ে করলেও হিমুর সঙ্গে সে বিভিন্নভাবে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতো। গত ৪ মাস আগে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে জিয়াউদ্দিন অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়মিত তার বাসায় যাতায়াত শুরু করে। এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ও বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হতো।

এছাড়াও গত ২/৩ বছর ধরে হুমায়রা হিমু ‘বিগো লাইভ অ্যাপস’-এ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় করেছে বলে জানায় জিয়াউদ্দিন। এসব বিষয় নিয়েও বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতো।

র‌্যাব আরও জানায়, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার সময় জিয়াউদ্দিন হুমায়রা হিমুর উত্তরার বাসায় আসে। তখন তাদের মধ্যে অনলাইন জুয়াসহ নানা ব্যাপারে বাকবিতণ্ডা হয়। অভিনেত্রী ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে সে বাইরে থেকে একটি মই এনে সিলিং ফ্যান লাগানোর লোহার সঙ্গে পূর্ব থেকে বেঁধে রাখা প্লাস্টিকের রশিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায় জিয়াউদ্দিনকে।

হুমায়রা হিমু এর আগেও ৩/৪ বার আত্মহত্যা করবে বলে জিয়াউদ্দিনকে জানালেও পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেনি। এবারও আগের মতো আত্মহত্যা করার হুমকি দিলে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি জিয়াউদ্দিন। কিছুক্ষণ পর অভিনেত্রী রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিলে জিয়াউদ্দিন তাকে নামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তখন পাশের রুমে থাকা অভিনেত্রীর মেকআপ আর্টিস্ট মিহিরকে ডেকে আনে। মিহির রান্নাঘর থেকে বটি এনে রশি কেটে তাকে নিচে নামায়। জিয়াউদ্দিন, বাসার দারোয়ান এবং মিহিরের সহায়তায় অভিনেত্রীকে বাসা থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন অভিনেত্রীকে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ওইদিন সন্ধ্যায় অভিনয়শিল্পী সংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিনয়শিল্পী হুমায়রা হিমু আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে হিমুর একজন বন্ধু ও মিহির হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসেন। পৌঁছানোর পর উপস্থিত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নয়া শতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ