বাংলাদেশে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা যাদের হাত ধরে এসেছিলো, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন জেফার। দেশের প্রথম ইউটিউবার হিসেবেই সমাদৃত হন তিনি। আইকনিক স্টাইল ও মৌলিক ইংরেজি গান দিয়ে বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।
২০১০ সাল থেকে বিখ্যাত সব ইংরেজি গান কাভার করে শোরগোল ফেলে দেওয়া জেফার ধীরে ধীরে পৌঁছে গেছেন জনপ্রিয়তার শিখরে। বর্তমানে স্টেজ শো মানেই জেফারের গান। স্বকীয় গায়কি আর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট দিয়ে সহজেই সবার থেকে আলাদা হয়েছেন।
মিউজিক বাদেও জেফারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পার্ট হচ্ছে তার চুল। তার চুলের বিশেষ স্টাইলের জন্যই তিনি দর্শকদের কাছে আলাদাভাবে উপস্থিত হয়েছেন। এককালে এই চুলের স্টাইল নিয়ে শুরুর দিকে প্রচুর হাসাহাসি শুনলেও এখন সেটাই আবেদনময়ী ফ্যাশন। সেই ২০১০ সাল থেকে তার প্রতিটি অ্যালবামে বা মিউজিক ভিডিও থেকে শুরু করে, ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে হাঁটার সময়ও চুলে থাকে তার সেই আইকনিক স্টাইল। বিশেষ এই স্টাইল যেন তার একটি সত্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কখনো এই স্টাইল ছেড়ে নতুন লুকে ধরা দিতে পারেন তা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন দর্শকরা।
কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে এবার সেই আইকনিক স্টাইল থেকে বেরিয়ে এলেন তিনি। জট বাঁধানো চুলের স্টাইল ছেড়ে একদম সাধারণ বাঙালি মেয়ে হয়ে ধরা দিয়েছেন জেফার। গান ছেড়ে একদম অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রেখেছেন তিনি। তাও আবার স্বনামধন্য নির্মাতা ও অভিনেতার সাথে। যদিও তার অভিনয়ে আসার যাত্রাটা সহজ ছিল না। একজন গায়িকা থেকে মডেল তারপর এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার সব ধাপ পেরিয়ে নিজেকে ঝালাই করেছেন। বিভিন্ন ইউটিউবারদের সাথে ছোটখাটো কন্টেন্টে কাজ করা হলেও বিস্তর পরিসরে কাজ করা হইনি তার।
৬টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করা ‘ন ডরাই’ সিনেমার ‘হারবো না’ শিরোনামের আলোচিত গানটি জেফারের গাওয়া। এ ছাড়া এ সিনেমার এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ‘ট্রেসেমে বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক ২০২০-এ র্যাম্পের মঞ্চ মাতাতেও দেখা গেছে জেফারকে।
সম্প্রতি তার মিউজিক ভিডিও ঝুমকা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে। তার হুক স্টেপে ফেসবুক, টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এখনো সরগরম। গানের জগতে সফল পদচারণার পর এবার অভিনয়েও নাম লেখালেন তিনি। নিজের অধ্যবসায়, পরিশ্রম ও বিচক্ষণ চিন্তাই তাকে সব ধরনের সফলতার দিকে ধাবিত করছে। গান, নাচ, মডেলিং, পরিচালনা, অভিনয় সব মিলিয়ে যেন শোবিজের অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিনিয়ত ফুটিয়ে তুলছেন নিজেকে।
নয়া শতাব্দী/এসএম/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ