বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)’র লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন স্টুডেন্ট সোসাইটি (পাস)’র দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সহ-সভাপতি লোক প্রশাসন বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান কামরুল ও সাধারণ সম্পাদক গাজীউর গাজী নির্বাচিত হন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা হতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পাস’র সভাপতি হিসেবে যিনি ডিপার্টমেন্ট প্রধান তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।
এবারের নির্বাচনে পাস’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২ জন সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বহিরঙ্গন পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী এছাড়াও সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেকচারার সাইফুল ইসলাম ও নিয়াজ মাখদুম।
এদিন ভোট দেওয়ার জন্য সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। উৎসবমুখর পরিবেশে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রাত ৮ টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
পাস’র নির্বাচনে সহ-সভাপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান কামরুল ও শিহাব মন্ডল। তাদের ভোটের ব্যাবধান যথাক্রমে ১৪৪, ১১৫। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শাহজাহান আলী, সুয়াইব শাহীন, গাজীউর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের ভোটের ব্যবধান যথাক্রমে ৫৫, ৯১, ১১৪।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রেজাউল করিম লেমন ও হাসিবুল হাসান সোহাগ, সংস্কৃতি সম্পাদক সোহা নোমান, সাহিত্য সম্পাদক সামিউল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক তানজিন খান ও গোপাল চন্দ্র সরকার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, এমদাদুল হক মনজু। এছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক সোহানা আফরিন ও আব্দুর রহিম বাদশা, কার্যকারী সদস্য হিসেবে আতিয়া ফাইরুজ স্বর্ণা, স্বাধিন বাবু, তিথী বর্মন, সুমাইয়া খান অনামিকা, রাসেল রানা, আবু নাঈম ও শিমুল খন্দকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
পাস’র অন্যান্য নির্বাচিতরা হলেন- হাসিবুল হাসান সোহাগ, রাকিবুল, তানজিন খান, শিমুল, আবু নাঈম, স্বাধীন, রাসেল, স্বর্না, অনামিকা, বিশাল।
এসময় শিক্ষার্থীদের কাছে নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে যুথী রানী বলেন, ভোট দিতে এসে খুব ভালো লাগছে। আজকে যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন আশাকরি। প্রধান নির্বাচন কমিশার সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী বলেন, আজকে ৮৬ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় আমাদের শিক্ষার্থীরা নির্বাচন সম্পর্কে অনেকটা সচেতন। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই আমরা ভোট দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ করেছি।
নির্বাচন পরিদর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজীম এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া প্রমুখ।
লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আসাদুজ্জামান মণ্ডল আসাদ বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা এক বছরের জন্য তাদের নেতা নির্বাচন করে। নির্বাচিত নেতারা অবশিষ্টাংশ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া গুলো পূরণে কাজ করেন। নির্বাচিতরা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। আমি মনে করি প্রত্যেক বিভাগে এ ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ বলেন, গনতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন। তাই আমি মনে করি প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে এ রকম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। যাতে শিক্ষার্থীরা ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে পারে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ