ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বুদ্ধিজীবীরা মনস্তাত্তিক লড়াইয়ে অংশ নেন : সৌমিত্র শেখর 

প্রকাশনার সময়: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:১৯

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, যে কোনো রাজনৈতিক সংগ্রামের পেছনে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রাম ক্রিয়াশীল থাকে। মাঠের যে যুদ্ধ সেই বাহ্যিক লড়াইয়ের আগে একটি মনস্তাত্তিক যুদ্ধ থাকে। বুদ্ধিজীবীরা এই মনস্তাত্তিক লড়াইয়ে অংশ নেন। যেটি আমরা বাইরে থেকে সাধারণত দেখি না। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধেও বুদ্ধিজীবী শ্রেণি মনস্তাত্তিক লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। আমাদের মুক্তির লড়াইয়ের একাত্তর পর্যন্ত পৌঁছানোর সুদীর্ঘ বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ‘বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা: অতীত, বর্তমনা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের মধ্যদিয়ে আমরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেব। সেই সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ গঠনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় অবদান রাখবে। আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সেভাবে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে তুলবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. সুজন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর দে। আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তুহিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, এই দেশটিকে গড়বার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে। তিনি বলতেন সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চাই। যদিও বৈপীরিত্যমূলক সংকটের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছে তবুও আমি আশাবাদী কারণ ৫৯৪ খৃষ্টাব্দে শশাঙ্ক যখন গোড়ে রাজ্য করে সেখান থেকে ক্রমাগতভাবে ইতিহাসকে পর্যবেক্ষণ করি দেখব বাঙালি এগিয়েছে। বাঙালি এগুচ্ছে। সেজন্য এদেশকে নিয়ে আমি আশাবাদী থাকতে চাই। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশে বুদ্ধিজীবী চর্চার ইতিহাস তুলে ধরেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীরমসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ