ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে মেধাবী ছাত্ররাও উত্তর দিতে পারে না’

প্রকাশনার সময়: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৪৭

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মের ৯০ শতাংশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। স্বাধীনতা কখন হলো- বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি কে, সত্যিকার অর্থে জাতির জন্য যারা পথ দেখিয়েছেন, এরকম প্রগতিশীল নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে তারা কিছুই বলতে পারবে না। এমনকি ইন্টারভিউতে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে মেধাবী ছাত্ররাই সবকিছু বলতে পারে না।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানের আমলে নিয়ে যাওয়া হবে। এদেশে প্রগতিশীল বলতে কোনো জিনিস থাকবে না। দেশে প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী যারা আছেন তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে বঙ্গবন্ধু কন্যা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নেতৃত্বে আছেন বলে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়াতে পারছি।

উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক খন্দকার মোশতাক সেটা চায়নি। তাজউদ্দিন আহমেদ খুব বিচক্ষণ থাকায় এ ষড়যন্ত্রটি উদঘাটন করেছেন। মোশতাকের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে আবার পাকিস্তানের ভাবধারায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তারা পাকিস্তানের আদর্শকে হৃদয়ে লালন করেছিল। তাদের ঘড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। একাত্তর সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নিধন চলছে। যখনই প্রগতিশীলরা ক্ষমতায় এসেছে তখনই হায়েনারা তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এখনো যারা প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা করে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

পূর্বে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলে, আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে ইচ্ছা করেই তারা বিকৃত করেছে। ছেলে-মেয়েরা যাতে স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে না পারে, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে না পারে, স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করতে না পারে, সেজন্য তারা এ কাজগুলো করে গেছে।

এ সময় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে সকাল পৌনে নয়টায় কালো ব্যাজ ধারণ এবং নয়টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও ১০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ