শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করার দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি অন্যায়ভাবে প্রশাসন এমন বহিষ্কার আদেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গেট বন্ধ করে আন্দোলন করায় ভিতরে আটকা পড়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় আরও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া আরও একটি ঘটনায় অপর এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে নোটিশ জারি করার পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিকেল চারটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব ফটক তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছুটে যান প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। তারা শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। বিকেল পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সোনাপুর-চর জব্বর সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বার বার কথা বলতে দেখা যায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের। কিন্তু শিক্ষার্থীরা নিজেদের দাবি আদায় থেকে সরে যেতে নারাজ। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছোট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের কয়েকজনকে অনেক বেশি শাস্তি দিয়েছেন।এতে করে শিক্ষার্থীদের ছাত্র জীবন হুমকির মুখে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষার্থীদের এমন আন্দোলনের বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গেট আটকিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ